6. তখন অদোনী-বেষক পালিয়ে গেলেন; আর তারা তাঁর পিছনে পিছনে তাড়া করে তাঁকে ধরলো এবং তাঁর হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে ফেলল।
7. তখন অদোনী-বেষক বললেন, যাঁদের হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছিল এমন সত্তরজন বাদশাহ্ আমার টেবিলের নিচে খাদ্য কুড়াতেন। আমি যেমন কাজ করেছি, আল্লাহ্ আমাকে সেই অনুসারে প্রতিফল দিয়েছেন। পরে লোকেরা তাঁকে জেরুশালেমে আনলে তিনি সেই স্থানে মৃত্যবরণ করলেন।
8. আর এহুদা-বংশের লোকেরা জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা অধিকার করলো ও লোকদের তলোয়ার দ্বারা হত্যা করে আগুন দিয়ে নগরটি পুড়িয়ে দিল।
9. পরে এহুদা-বংশের লোকেরা পর্বতময় দেশ, দক্ষিণ দেশ ও নিম্নভূমি-নিবাসী কেনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে নেমে গেল।
10. আর এহুদার লোকেরা হেবরন-নিবাসী কেনানীয়দের বিরুদ্ধে যাত্রা করে শেশয়, অহীমান ও তল্ময়কে আঘাত করলো; আগে ঐ হেবরনের নাম ছিল কিরিয়ৎ-অর্ব।
11. সেই স্থান থেকে তারা দবীর-নিবাসীদের বিরুদ্ধে যাত্রা করলো; আগে দবীরের নাম কিরিয়ৎ-শেফর ছিল।
12. কালুত বললেন, যে কেউ কিরিয়ৎ-শেফরকে আঘাত করে অধিকার করবে, তার সঙ্গে আমি আমার কন্যা অক্ষার বিয়ে দেব।
13. আর কালেবের কনিষ্ঠ ভাই কনসের পুত্র অৎনিয়েল তা অধিকার করলে তিনি তাঁর সঙ্গে তাঁর নিজের কন্যা অক্ষার বিয়ে দিলেন।
14. আর ঐ কন্যা এসে তার পিতার কাছে একখানি ভূমি চাইতে তার স্বামীকে প্রবৃত্তি দিল। পরে অক্ষা এসে তার গাধা থেকে নামার পর কালুত তাকে বললেন, তুমি কি চাও?
15. সে তাঁকে বললো, আপনি আমাকে একটি উপহার দিন; দক্ষিণাঞ্চলস্থ ভূমি আমাকে দিয়েছেন, পানির ফোয়ারাগুলোও আমাকে দিন। তাতে কালুত তাকে উচ্চতর ফোয়ারাগুলো ও নিম্নতর ফোয়ারাগুলো দিলেন।
16. পরে মূসার সম্বন্ধী কেনীয়ের সন্তানেরা এহুদার সন্তানদের সঙ্গে খর্জুরপুর থেকে অরাদের দক্ষিণ দিক্স্থিত এহুদা মরুভূমিতে উঠে গেল; তারা সেই স্থানে গিয়ে লোকদের মধ্যে বসতি করলো।
17. আর এহুদা-বংশ তাদের ভাই শিমিয়োন-বংশের সঙ্গে গমন করলো এবং তারা সফাৎ-নিবাসী কেনানীয়দেরকে আক্রমণ করে ঐ নগর নিঃশেষে বিনষ্ট করলো। আর সেই নগরের নাম হর্মা (বিনষ্ট) হল।
18. আর এহুদা-বংশ গাজা ও তার অঞ্চল, অস্কিলোন ও তার অঞ্চল এবং ইক্রোণ ও তার অঞ্চল অধিকার করলো।
19. মাবুদ এহুদা-বংশের সহবর্তী ছিলেন, সে পর্বতময় দেশের নিবাসীদেরকে অধিকারচ্যুত করলো। এহুদা সমভূমি নিবাসীদেরকে অধিকারচ্যুত করতে পারল না, কেননা তাদের লোহার রথ ছিল।