4. যিনি তোমাদের জীবনস্বরূপ সেই মসীহ্ যখন প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরাও তাঁর সঙ্গে মহিমায় প্রকাশিত হবে।
5. অতএব তোমাদের মধ্যে যে সমস্ত দুনিয়াবী বিষয় সকল রয়েছে তা ধ্বংস কর— যথা পতিতাগমন, নাপাকীতা, মোহ, কুঅভিলাষ এবং লোভ; এই সমস্ত তো এক রকম মূর্তিপূজা।
6. এই সকলের কারণে অবাধ্যতার সন্তানদের প্রতি আল্লাহ্র গজব উপস্থিত হয়।
7. আগে যখন তোমরা ঐ রকম জীবন-যাপন করতে তখন তোমরাও এই সকলের মধ্যে চলতে।
8. কিন্তু এখন তোমরাও এসব ত্যাগ কর— রাগ, ক্রোধ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বের হওয়া কুৎসিত আলাপ।
9. এক জন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা বলো না; কেননা তোমরা পুরানো মানুষকে তার কাজসুদ্ধ কাপড়ের মত ত্যাগ করেছ,
10. এবং সেই নতুন মানুষকে পরেছ, যে আপন সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি অনুসারে পূর্ণ জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে নতুনীকৃত হচ্ছে।
11. এই নতুনী-করণের মধ্যে গ্রীক বা ইহুদী, খৎনা-করানো বা খৎনা-না-করানো, বর্বর, স্কুথীয়, গোলাম বা স্বাধীন বলে আর কিছু নেই, কিন্তু মসীহ্ই সর্বেসর্বা আর তিনিই সমস্ত কিছুর মধ্যে আছেন।
12. অতএব তোমরা আল্লাহ্র মনোনীত জন, তাঁর পবিত্র ও প্রিয় লোক হিসেবে করুণার অন্তর, দয়ার ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
13. পরস্পর সহনশীল হও এবং যদি কাউকেও দোষ দেবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর মাফ কর; প্রভু যেমন তোমাদেরকে মাফ করেছেন, তোমরাও তেমনি মাফ কর।
14. আর এই সব গুণগুলোর উপরে মহব্বত পরিধান কর, যে মহব্বত ঐসব গুণগুলোকে একত্রে যথাযথ ঐক্যে বেঁধে রাখে।
15. আর মসীহের শান্তি তোমাদের অন্তরে কর্তৃত্ব করুক; তোমাদের তো তারই জন্য এক দেহে আহ্বান করা হয়েছে; আর কৃতজ্ঞ হও।
16. মসীহের কালাম প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় জবুর শরীফের গজল, প্রশংসা গজল ও রূহানিক গজল দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে নিজ নিজ অন্তরে আল্লাহ্র উদ্দেশে গজল গাও।