5. কিন্তু ইহুদীদের প্রাচীনদের প্রতি তাঁদের আল্লাহ্র দৃষ্টি ছিল, আর যতদিন দারিয়ুসের কাছে নিবেদন উপস্থিত করা না হল এবং সেই কর্মের বিষয়ে পুনরায় পত্র না আসল ততদিন ওঁরা তাঁদেরকে নিবৃত্ত করলেন না।
6. নদী-পারস্থ শাসনকর্তা তত্তনয়, শথরবোষণয় এবং নদী-পারস্থ তাঁদের সঙ্গী অফর্সখীয়েরা বাদশাহ্ দারিয়ুসের কাছে যে পত্র পাঠালেন, তার অনুলিপি এই।
7. তাঁরা যে পত্র পাঠালেন তাতে এসব কথা লেখা ছিল, “মহারাজ দারিয়ুসের সকলই মঙ্গল হোক।
8. বাদশাহ্র কাছে আমাদের নিবেদন, আমরা এহুদা প্রদেশে মহান আল্লাহ্র গৃহে গিয়েছিলাম, তা প্রকাণ্ড প্রস্তর দ্বারা নির্মিত এবং তার দেয়ালে কাঠ বসানো হচ্ছে; আর এই কাজ সযত্নে চলছে ও তাদের হাতে তা সুসম্পন্ন হচ্ছে।
9. আমরা সেই প্রাচীনদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম, তাদেরকে এই কথা বললাম, এই গৃহ নির্মাণ ও প্রাচীর স্থাপন করতে তোমাদেরকে কে হুকুম দিয়েছে?
10. আর আমরা আপনাকে জানবার জন্য তাদের প্রধান লোকদের নাম লিখে নেবার জন্য তাদের নামও জিজ্ঞাসা করলাম।
11. তারা আমাদেরকে এই জবাব দিল, যিনি বেহেশতের ও দুনিয়ার আল্লাহ্, আমরা তাঁরই গোলাম; আর এই যে গৃহ নির্মাণ করছি, তা বহু বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল, ইসরাইলের এক জন মহান বাদশাহ্ তা নির্মাণ ও সমাপ্ত করেছিলেন।
12. পরে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বেহেশতের আল্লাহ্কে অসন্তুষ্ট করাতে, তিনি তাদেরকে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ কল্দীয় বখতে-নাসারের হাতে তুলে দেন; তিনি এই গৃহ ধ্বংস করেন এবং লোকদেরকে ব্যাবিলনে নিয়ে যান।
13. কিন্তু ব্যাবিলনের বাদশাহ্ কাইরাসের প্রথম বছরে কাইরাস বাদশাহ্ আল্লাহ্র এই গৃহ নির্মাণ করতে হুকুম করলেন।
14. আর বখতে-নাসার আল্লাহ্র গৃহের যেসব সোনার ও রূপার পাত্র জেরুশালেমের এবাদতখানা থেকে নিয়ে গিয়ে ব্যাবিলনের মন্দিরে রেখেছিলেন, সেসব পাত্র কাইরাস বাদশাহ্ ব্যাবিলনস্থ এবাদতখানা থেকে বের করে তাঁর নিযুক্ত শেশ্বসর নামক শাসনকর্তার হাতে তুলে দিলেন,
15. এবং তাঁকে বললেন, তুমি এসব পাত্র জেরুশালেমের বায়তুল মোকাদ্দসে নিয়ে গিয়ে সেখানে রাখ এবং আল্লাহ্র গৃহ স্বস্থানে নির্মিত হোক।
16. সেই সময় সেই শেশ্বসর এসে জেরুশালেমেস্থ আল্লাহ্র গৃহের ভিত্তিমূল স্থাপন করলেন; সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এর গাঁথুনি হচ্ছে, তবুও এর নির্মাণ শেষ হয় নি।
17. অতএব এখন যদি বাদশাহ্ ভাল মনে করেন, তবে কাইরাস বাদশাহ্ জেরুশালেমের আল্লাহ্র গৃহ নির্মাণ করার হুকুম দিয়েছিলেন কি না, তা বাদশাহ্র ঐ ব্যাবিলনে অবস্থিত ধনাগারে অনুসন্ধান করা হোক; পরে বাদশাহ্ এই বিষয়ে আমাদের কাছে তার ইচ্ছা বলে পাঠাবেন।”