15. আর তোমাদের ভাইদেরকে, আফরাহীমের সমস্ত বংশকে, যেমন বের করে দিয়েছি, তেমনি তোমাদেরকেও আমার দৃষ্টিপথ থেকে বের করে দেব।
16. অতএব তুমি এই জাতির জন্য মুনাজাত করো না, তাদের জন্য আমার কাছে কাতরোক্তি ও মুনাজাত উৎসর্গ করো না, কেননা আমি তোমার কথা শুনব না।
17. তারা এহুদার নগরে নগরে ও জেরুশালেমের পথে পথে যা করছে, তা কি তুমি দেখছ না?
18. বালকেরা কাঠ কুড়ায়, পিতারা আগুন জ্বালায়, স্ত্রীলোকেরা ময়দা ছানে, আকাশ-রাণীর উদ্দেশে পিঠা রান্না করে ও অন্য দেবতাদের উদ্দেশে পানীয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য তা করে, যেন এভাবে তারা আমার অসন্তোষ জন্মায়।
19. তারা কি আমারই অসন্তোষ জন্মায়? মাবুদ এই কথা বলেন; তারা কি নিজেদেরই অসন্তোষ জন্মিয়ে নিজেদের দুঃখ দিচ্ছে না?
20. এজন্য সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, এই স্থানের উপরে, মানুষ, পশু এবং ক্ষেতের গাছ ও ভূমির ফল, এই সকলের উপরে আমার ক্রোধ ও গজব ঢালা যাবে; আর তা জ্বলতেই থাকবে, নিভে যাবে না।
21. বাহিনীগণের মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, এই কথা বলেন; তোমরা নিজেদের অন্যান্য কোরবানীর সঙ্গে পোড়ানো-কোরবানী যোগ কর, গোশ্ত খেয়ে ফেল।
22. বস্তুত যেদিন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছিলাম, সেই সময়ে পোড়ানো-কোরবানীর কিংবা কোরবানীর বিষয় তাদেরকে বলেছিলাম, কিংবা হুকুম দিয়েছিলাম, এমন নয়;
23. বরং তাদেরকে এই হুকুম দিয়েছিলাম, তোমরা আমার কথা মান্য কর, তাতে আমি তোমাদের আল্লাহ্ হব ও তোমরা আমার লোক হবে; আর আমি তোমাদেরকে যে পথে চলবার হুকুম দিই, সেই পথেই চলো, যেন তোমাদের মঙ্গল হয়।
24. কিন্তু তারা শুনলো না, কানও দিল না, বরং নিজেদের মন্ত্রণায়, নিজেদের হৃদয়ের কঠিনতায় আচরণ করলো, তারা অগ্রসর না হয়ে পিছে হটে গেল।
25. যেদিন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিল, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে আমার সমস্ত গোলামকে, অর্থাৎ নবীদেরকে, তোমাদের কাছে প্রেরণ করে আসছি।
26. তবুও লোকেরা আমার কালাম শোনে নি, কানও দেয় নি, কিন্তু নিজ নিজ ঘাড় শক্ত করতো; তারা পূর্বপুরুষদের চেয়েও বেশি দুরাচারী হয়েছে।