15. তারা ঘৃণার কাজ করেছে বলে কি লজ্জিত হল? তারা মোটেই লজ্জিত হয় নি, বিষণ্ন হতেও জানে না; সেজন্য তারা তাদের মধ্যে পড়বে যারা শাস্তি ভোগ করবে; আমি যখন তাদের প্রতিফল দেব, তখন তাদের নিপাত হবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
16. মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা পথে পথে দাঁড়িয়ে দেখ কোন্ কোন্টা চিরন্তন পথ; তা জিজ্ঞাসা করে বল, উত্তম পথ কোথায়? আর সেই পথে চল, তাতে তোমরা নিজ নিজ প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাবে। কিন্তু তারা বললো, আমরা চলবো না।
17. আর আমি তোমাদের উপরে প্রহরীদেরকে রাখলাম, বললাম ‘তোমরা তূরীধ্বনিতে কান দাও;’ কিন্তু তারা বললো, কান দেব না।
18. অতএব হে জাতিরা, শোন; হে মণ্ডলী, তাদের প্রতি কি কি ঘটবে তা জান।
19. হে দুনিয়া, শোন, দেখ, আমিই এই জাতির উপরে অমঙ্গল আনবো, তাদের পরিকল্পনাগুলোর ফল বর্তাব, কারণ তারা আমার কথায় মনযোগ দেয় নি; আর আমার ব্যবস্থা, তারা তা হেয়জ্ঞান করেছে।
20. সাবা থেকে আমার কাছে কেন ধূপ আসে? কেন দূর দেশ থেকে মিষ্ট বচ আসে? তোমাদের পোড়ানো-কোরবানীগুলো আমার গ্রাহ্য নয়, তোমাদের কোরবানীও আমার তুষ্টিজনক নয়।
21. অতএব মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই জাতির সম্মুখে নানা বাধা রাখব, আর পিতা ও পুত্রেরা একসঙ্গে তাতে উচোট খাবে; প্রতিবেশী ও তার বন্ধু বিনষ্ট হবে।
22. মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, উত্তর দেশ থেকে এক জনসমাজ আসছে, দুনিয়ার প্রান্ত থেকে একটি মহাজাতি উত্তেজিত হয়ে আসছে।
23. তারা ধনুক ও বর্শাধারী, নিষ্ঠুর ও করুণাশূন্য, তাদের রব সমুদ্র-গর্জনের মত এবং তারা ঘোড়ায় চড়ে আসছে। অয়ি সিয়োন-কন্যে, তোমারই বিপরীতে যুদ্ধ করবার জন্য তারা প্রত্যেক জন যোদ্ধার মত সুসজ্জিত হয়েছে।
24. আমরা এই বিষয়ে জনশ্রুতি শুনেছি, আমাদের হাত অবশ হল; যন্ত্রণা প্রসবকারিণীর মত ব্যথা আমাদেরকে ধরলো।
25. মাঠে যেও না, পথে গমন করো না, কেননা সেখানে দুশমনের তলোয়ার, চারদিকেই ভয়।
26. হে আমার জাতির কন্যে, তুমি চট পর, ভস্মে লুটিয়ে পর, একমাত্র পুত্রবিয়োগ শোকের মত শোক কর, তীব্র মাতম কর; কেননা বিনাশক অকস্মাৎ আমাদের উপরে আসবে।
27. আমি আমার লোকদের মধ্যে তোমাকে পরীক্ষক করে দুর্গরূপে স্থাপন করেছি; যেন তুমি তাদের পথ জানতে পার ও পরীক্ষা করে দেখতে পার।
28. তারা সকলে দারুণ অবাধ্য, কুৎসা রটনা করে বেড়ায়; তারা ব্রোঞ্জ ও লোহার মত; তারা সকলেই ভ্রষ্টাচারী।
29. যাঁতা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সীসা আগুনে শেষ হয়েছে; অনর্থক তা খাঁটি করার চেষ্টা হচ্ছে; কারণ দুষ্টদেরকে বের করা যাচ্ছে না।