49. ব্যাবিলন যেমন ইসরাইলের নিহতদেরকে নিপাত করেছে, সেরকম দেশের সমস্ত নিহতরা ব্যাবিলনে পড়ে থাকবে।
50. তলোয়ার থেকে রক্ষা পেয়েছ যে তোমরা, তোমরা চল, বিলম্ব করো না; দূরদেশে মাবুদকে স্মরণ কর এবং জেরুশালেমকে মনে কর।
51. আমরা উপহাস শুনেছি, তাই লজ্জিত হয়েছি, আমাদের মুখ অপমানে আচ্ছন্ন হয়েছে, কেননা বিদেশী লোকেরা মাবুদের গৃহের সকল পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছিল।
52. এজন্য মাবুদ বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যে সময়ে আমি তার খোদাই-করা মূর্তিগুলোকে প্রতিফল দেব, আর তার দেশের সর্বত্র আহত লোকেরা কোঁকাবে।
53. ব্যাবিলন যদিও আসমান পর্যন্ত উঠে, যদিও নিজের বলের দুর্গ দৃঢ় করে, তবুও আমার হুকুমে লুণ্ঠনকারীরা তার কাছে যাবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
54. ব্যাবিলনের মধ্য থেকে কান্নার আওয়াজ, কল্দীয়দের দেশ থেকে মহাধ্বংসের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
55. কেননা মাবুদ ব্যাবিলনকে উচ্ছিন্ন করছেন, তার মধ্যবর্তী মহাশব্দকে ক্ষান্ত করছেন, ওদের তরঙ্গগুলো জলরাশির মত গর্জন করছে; তাদের কল্লোল-ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
56. কারণ তার উপরে, ব্যাবিলনের উপরে, বিনাশক এসেছে, তার বীরেরা ধরা পড়ল, তাদের ধনুকগুলো ভেঙ্গে গেল; কেননা মাবুদ প্রতিফলদাতা, তিনি অবশ্য সমুচিত ফল দেবেন।
57. আর আমি তার কর্মকর্তাদের, তার জ্ঞানবানদের, তার শাসনকর্তাদের, তার রাজ-কর্মচারীদের ও তার বীরদেরকে মাতাল করবো; তাতে তারা চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হবে, আর জেগে উঠবে না, এই কথা বাদশাহ্ বলেন, যাঁর নাম বাহিনীগণের মাবুদ।
58. বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, ব্যাবিলনের প্রশস্ত প্রাচীরগুলো একেবারে ভেঙ্গে ফেলা হবে এবং তার উঁচু দ্বারগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া যাবে; আর লোকবৃন্দ কেবল অসারতার জন্য ও জাতিরা কেবল আগুনের জন্য পরিশ্রম করবে; এবং তারা ক্লান্ত হবে।
59. এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়ের চতুর্থ বছরে মহসেয়ের পৌত্র নেরিয়ের পুত্র সরায় যে সময়ে বাদশাহ্র সঙ্গে ব্যাবিলনে গমন করেন, সে সময় ইয়ারমিয়া নবী সরায়কে যা হুকুম করেছিলেন, তার বৃত্তান্ত। উক্ত সরায় সেনানিবাসের নেতা ছিলেন।
60. আর ব্যাবিলনের ভাবী অমঙ্গলের কথা, অর্থাৎ ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে এই যেসব কথা লেখা আছে, তা ইয়ারমিয়া একখানা কিতাবে লিখেছিলেন।