ইয়ারমিয়া 51:1-17 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

1. মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি, ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে ও লেব-কামাই নিবাসীদের বিরুদ্ধে একটি বিনাশক বায়ু উৎপন্ন করবো।

2. আর আমি ব্যাবিলনে বিদেশীদের প্রেরণ করবো, তারা তাকে ঝাড়বে, তার দেশ শূন্য করবে, কারণ তারা বিপদের দিনে চারদিকে তার বিরুদ্ধে আসবে।

3. তীরন্দাজ ধনুকে চাড়া না দিক; সে বর্মসজ্জায় উত্থিত না হোক; তোমরা তার যুবকদের প্রতি রহম করো না, তার সমস্ত সৈন্য নিঃশেষে বিনষ্ট কর।

4. তারা কল্‌দীয়দের দেশে নিহত ও চকে তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে।

5. কারণ ইসরাইল কিংবা এহুদা যে তার আল্লাহ্‌ বাহিনীগণের মাবুদ কর্তৃক পরিত্যক্ত, তা নয়; যদিও এদের দেশ ইসরাইলের পবিত্রতমের বিরুদ্ধে দোষে পরিপূর্ণ হয়েছে।

6. তোমরা ব্যাবিলনের মধ্য থেকে পালিয়ে যাও, প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রাণ রক্ষা কর; তার অপরাধে তোমরা উচ্ছিন্ন হয়ো না; কেননা এ মাবুদের প্রতিশোধ গ্রহণের সময়, তিনি তাকে অপকারের প্রতিফল দিতে উদ্যত।

7. মাবুদের হাতে ব্যাবিলন সোনার পাত্রের মত ছিল, তা সমস্ত দুনিয়াকে মাতাল করতো, জাতিরা তার মদ পান করেছে, সেজন্য জাতিরা পাগল হয়েছে।

8. ব্যাবিলন অকস্মাৎ পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে গেল; তার জন্য হাহাকার কর; তার ব্যথার প্রতিকারের জন্য ওষুধ গ্রহণ কর; কি জানি সে সুস্থ হবে।

9. ‘আমরা ব্যাবিলনকে সুস্থ করতে যত্ন করেছি, কিন্তু সে সুস্থ হল না; তাকে ত্যাগ কর, আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দেশে যাই, কেননা ওর বিচার উচ্চতায় আকাশ ছোঁয়া।

10. মাবুদ আমাদের ধার্মিকতা প্রকাশ করেছেন; এসো, আমরা সিয়োনে গিয়ে আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের কাজ ঘোষণা করি।’

11. তোমরা তীরগুলো ধারালো কর, ঢাল ধর; মাবুদ মাদীয় বাদশাহ্‌দের মন উত্তেজিত করেছেন, কেননা তাঁর সঙ্কল্প ব্যাবিলনের বিপক্ষ, তার বিনাশের জন্য; বস্তুত তা মাবুদের প্রতিশোধ গ্রহণ, তাঁর বায়তুল-মোকাদ্দসের জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ।

12. তোমরা ব্যাবিলনের প্রাচীরের বিরুদ্ধে নিশান স্থাপন কর, রক্ষী দলগুলোকে সাহস দাও, প্রহরীদেরকে নিযুক্ত কর, গোপন স্থানে সৈন্য রাখ; কেননা মাবুদ ব্যাবিলন-নিবাসীদের বিষয়ে যা বলেছেন, তা সঙ্কল্প করেছেন, সিদ্ধও করেছেন।

13. হে জলরাশির উপরে বাসকারিণী! ধনকোষে ঐশ্বর্যশালিনী! তোমার শেষকাল, তোমার ধনলোভের পরিণাম উপস্থিত।

14. বাহিনীগণের মাবুদ তাঁর নামে এই কসম খেয়েছেন, সত্যিই আমি তোমাকে পঙ্গপালের মত জনগণে পরিপূর্ণ করেছি, তারা তোমার বিরুদ্ধে সিংহনাদ করবে।

15. তিনি নিজের শক্তিতে দুনিয়া গঠন করেছেন। নিজের জ্ঞানে দুনিয়া স্থাপন করেছেন, নিজের বুদ্ধিতে আসমান বিছিয়ে দিয়েছেন।

16. তিনি গর্জে উঠলে আসমানে জলরাশির আওয়াজ হয়, তিনি দুনিয়ার প্রান্ত থেকে বাষ্প উত্থাপন করেন; তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ গঠন করেন; তিনি তাঁর ভাণ্ডার থেকে বায়ু বের করে আনেন।

17. প্রত্যেক মানুষ পশুর মত হয়েছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তির দ্বারা লজ্জিত হয়; কারণ তার ছাঁচে ঢালা বস্তু মিথ্যামাত্র, তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।

ইয়ারমিয়া 51