13. মিসর দেশকে পরাজিত করার জন্য ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের আগমন বিষয়ে মাবুদ ইয়ারমিয়াকে এই কথা বললেন।
14. তোমরা মিসরে প্রচার কর, মিগ্দোলে ঘোষণা কর এবং নোফে ও তফন্হেষে ঘোষণা কর, বল, তুমি উঠে দাঁড়াও, নিজেকে প্রস্তুত কর, কেননা তলোয়ার তোমার চারদিকে গ্রাস করেছে।
15. তোমার বলবানেরা কেন ভেসে গেল? তারা স্থির থাকতে পারল না, যেহেতু মাবুদ তাদেরকে অধঃপাতিত করলেন।
16. তিনি অনেককে হোঁচট খাওয়ালেন, হ্যাঁ, তারা এক জন অন্যের উপরে গিয়ে পড়লো; আর তারা বললো, উঠ, আমরা এই উৎপিড়ক তলোয়ার থেকে ফিরে স্বজাতির কাছে ও আমাদের জন্মভূমিতে যাই।
17. সেই স্থানে লোকেরা উচ্চৈঃস্বরে বললো, মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন শব্দমাত্র, সে সময় বয়ে যেতে দিয়েছে।
18. বাহিনীগণের মাবুদ যাঁর নাম, সেই বাদশাহ্ বলেন, আমার জীবনের কসম, পর্বতমালার মধ্যে তাবোরের মত কিংবা সমুদ্রের নিকটস্থ কর্মিলের মত এক ব্যক্তি আসবে।
19. হে মিসর-নিবাসিনী কন্যে, নির্বাসনের জন্য সম্বল প্রস্তুত কর; কেননা নোফ ধ্বংসিত, পতিত ভূমি ও জনশূন্য হবে।
20. মিসর অতি সুন্দরী তরুণী গাভী, কিন্তু উত্তর দিক থেকে দংশক আসছে, আসছে।
21. মিসরের মধ্যবর্তী তার বেতনভোগীরা পুষ্ট বাছুরটির মত, তারাও ফিরে গেছে, একযোগে পালিয়ে গেছে, স্থির থাকে নি, কেননা তাদের বিপদের দিন, প্রতিফল পাবার সময়, তাদের কাছে উপস্থিত।
22. তার আওয়াজ সাপের মত চলবে; কারণ ওরা সসৈন্যে চলবে এবং কাঠুরিয়াদের মত কুড়ালি নিয়ে তার বিরুদ্ধে আসবে।
23. মাবুদ বলেন, ওরা তার বন কেটে ফেলবে, তার অনুসন্ধান করা যায় না, কারণ ওরা পঙ্গপালের চেয়েও বেশি, ওরা অসংখ্য।
24. মিসরকন্যা লজ্জিতা হবে, তাকে উত্তর দিকের দেশগুলোর লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
25. বাহিনীগণের মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, বলেন, দেখ, আমি নো নগরের আমোন দেবকে, ফেরাউন ও মিসরকে এবং তার দেবতাদের ও বাদশাহ্দেরকে, ফেরাউন ও তার শরণাপন্ন সকলকে প্রতিফল দেব;
26. আর যারা তাদের প্রাণনাশ করার জন্য সচেষ্ট, তাদের হাতে, ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের ও তার গোলামদের হাতে তাদেরকে তুলে দেব; কিন্তু তারপরে সেই দেশ আগেকার দিনের মত বাসযোগ্য হবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
27. পরন্তু, হে আমার গোলাম ইয়াকুব, তুমি ভয় করো না; হে ইসরাইল, নিরাশ হয়ো না; কেননা দেখ, আমি দূর থেকে তোমাকে, বন্দীত্ব-দেশ থেকে তোমার বংশকে নিস্তার করবো; ইয়াকুব ফিরে আসবে, নির্ভয় ও নিশ্চিন্ত থাকবে, কেউ তাকে ভয় দেখাবে না।