12. তারচেয়ে বেশি প্রচণ্ড বায়ু আমার হুকুমনামায় আসছে, এখন আমিও লোকদের বিরুদ্ধে বিচারদণ্ড প্রচার করবো।
13. দেখ, সে মেঘমালার মত আসছে, তার রথগুলো ঘূর্ণিবাতাসের মত, তার ঘোড়াগুলো ঈগল পাখির চেয়েও দ্রুতগামী। হায় হায়, আমরা নষ্ট হলাম।
14. হে জেরুশালেম, অন্তর ধুয়ে তোমার দুষ্টতা ঘুচাও, যেন উদ্ধার পেতে পার; কত দিন তোমার অন্তরে দুশ্চিন্তা বাস করবে?
15. বস্তুত দান নগর থেকে কোন কণ্ঠস্বর ঘোষণা করছে, আফরাহীমের পর্বতমালা থেকে কেউ দুর্ঘটনার কথা ঘোষণা করছে।
16. তোমরা জাতিদের কাছে উল্লেখ কর; দেখ, জেরুশালেমের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর; দূর দেশ থেকে অবরোধকারীরা আসছে, তারা এহুদার নগরগুলোর বিরুদ্ধে হুঙ্কার করছে।
17. তারা ক্ষেত্ররক্ষকদের মত জেরুশালেমের চারদিকে থাকবে, কেননা সে আমার বিপক্ষচারিণী হয়েছে, মাবুদ এই কথা বলেন।
18. তোমার পথ ও তোমার সমস্ত কাজকর্ম তোমার বিরুদ্ধে এটা ঘটিয়েছে; এটা তোমার নাফরমানীর ফল, হ্যাঁ, এটা তিক্ত, হ্যাঁ, এটা তোমার মর্মভেদী।
19. ‘হায় আমার যাতনা! হায় আমার যাতনা! আমি অন্তরে ব্যথিত; আমার অন্তর কাঁপছে; আমি নীরব থাকতে পারি না; কেননা হে আমার প্রাণ, তুমি তূরীর আওয়াজ ও যুদ্ধের সিংহনাদ শুনেছ।
20. ধ্বংসের উপরে ধ্বংস প্রচারিত হচ্ছে, ফলে, সারা দেশ উচ্ছিন্ন হচ্ছে; হঠাৎ আমার তাঁবুগুলো, নিমেষের মধ্যে আমার পর্দাগুলো উচ্ছিন্ন হল।
21. আমি কত দিন যুদ্ধের নিশান দেখব ও তূরীর আওয়াজ শোনব?’
22. বস্তুত আমার লোকেরা অজ্ঞান, তারা আমাকে জানে না; তারা নির্বোধ বালক, তারা কদাচারে পটু, কিন্তু সদাচার করতে জানে না।
23. ‘আমি দুনিয়াতে দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ তা আকারহীন ও শূন্য ছিল; আমি আকাশমণ্ডলে দৃষ্টিপাত করলাম তার আলো ছিল না।
24. আমি পর্বতমালার প্রতি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, সেসব কাঁপছে ও উপপর্বতগুলো টলটলায়মান হচ্ছে।
25. আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, কোন মানুষ নেই এবং আসমানের সমস্ত পাখি পালিয়ে গেছে।