12. সেই সময়ে ইয়ারমিয়া বিন্ইয়ামীন প্রদেশে যাবার ও সেখানে লোকদের কাছ থেকে নিজেদের প্রাপ্য অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছায় জেরুশালেম থেকে প্রস্থান করলেন।
13. যখন তিনি বিন্ইয়ামীনের দ্বারে উপস্থিত হন, তখন সেই স্থানে রক্ষকদের এক জন নেতা ছিল, তার নাম যিরিয়, সে হনানিয়ের পৌত্র, শেলিমিয়ের পুত্র; সেই ব্যক্তি ইয়ারমিয়া নবীকে ধরে বললো, তুমি কল্দীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।
14. ইয়ারমিয়া বললেন, এটা মিথ্যে কথা, আমি কল্দীয়দের পক্ষে যাচ্ছি না। তবুও যিরিয় তাঁর কথা না শুনে ইয়ারমিয়াকে ধরে কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে গেল।
15. সেই কর্মকর্তারা ইয়ারমিয়ার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে প্রহার করলো এবং যোনাথন লেখকের বাড়িতে স্থাপিত কারাগারে রাখল, কেননা তারা সেই গৃহেই একটি কারাগার করেছিল।
16. সেই কারাকূপে ও কারাকক্ষে প্রবেশ করার পর ইয়ারমিয়া সেই স্থানে অনেক দিন যাপন করলেন।
17. পরে বাদশাহ্ সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে তাঁকে আনালেন; আর বাদশাহ্ তাঁর বাড়িতে তাঁকে নির্জনে জিজ্ঞাসা করলেন, মাবুদের কোন কালাম কি আছে? ইয়ারমিয়া বললেন, হ্যাঁ, আছে। তিনি আরও বললেন, আপনাকে ব্যাবিলনের বাদশাহ্র হাতে তুলে দেওয়া হবে।
18. ইয়ারমিয়া বাদশাহ্ সিদিকিয়কে এও বললেন, আপনার বিরুদ্ধে, আপনার গোলামদের বিরুদ্ধে, কিংবা এই লোকদের বিরুদ্ধে, আমি কি অপরাধ করেছি যে, আপনারা আমাকে কারাগারে রেখেছেন?
19. আর যারা আপনাদের কাছে এই ভবিষ্যদ্বাণী বলতো যে, ব্যাবিলনের বাদশাহ্ আপনাদের কিংবা এই দেশের বিরুদ্ধে আসবেন না, আপনাদের সেই নবীরা কোথায়?
20. এখন, হে আমার মালিক বাদশাহ্, আরজ করি, শুনুন; আমি যোনাথন লেখকের বাড়িতে যেন না মরি, এজন্য আপনি সেই স্থানে আমাকে আর পাঠাবেন না, আরজ করি, আমার এই ফরিয়াদ আপনার সাক্ষাতে গ্রাহ্য হোক।
21. তখন লোকেরা বাদশাহ্ সিদিকিয়ের হুকুমে ইয়ারমিয়াকে রক্ষীদের প্রাঙ্গণে রাখল এবং যে পর্যন্ত নগরের সমস্ত রুটি শেষ না হল, সে পর্যন্ত প্রতিদিন রুটি-ওয়ালাদের পাড়া থেকে একখানা রুটি নিয়ে তাঁকে দেওয়া হত। এই প্রকারে ইয়ারমিয়া রক্ষীদের প্রাঙ্গণে থাকলেন।