32. কেননা বনি-ইসরাইল ও এহুদার লোকেরা, অর্থাৎ তারা, তাদের বাদশাহ্রা, কর্মকর্তারা, ইমামেরা, নবীরা, এহুদার লোকেরা ও জেরুশালেম-নিবাসীরা আমাকে অসন্তুষ্ট করার জন্য নানা রকম দুষ্কর্ম করেছে।
33. তারা আমার প্রতি পিঠ ফিরিয়েছে, মুখ নয়; আমি তাদের শিক্ষা দিলে, খুব ভোরে উঠে শিক্ষা দিলেও, তারা উপদেশ গ্রহণ করার জন্য কান দেয় নি।
34. কিন্তু যে গৃহের উপরে আমার নাম কীর্তিত হয়েছে, তা নাপাক করতে তার মধ্যে তাদের ঘৃণার বস্তুগুলো স্থাপন করেছে।
35. আর তারা মোলকের উদ্দেশে নিজ নিজ পুত্রকন্যাদেরকে আগুনের মধ্য দিয়ে গমন করাবার জন্য হিন্নোম-সন্তানের উপত্যকায় বালের উচ্চস্থলীগুলো নির্মাণ করেছে, আমি তা হুকুম করি নি; তা আমার মনেও উদয় হয় নি যে, তারা এই ঘৃণার কাজ করে, যেন এহুদাকে গুনাহ্ করায়।
36. অতএব এখন, তোমরা যে নগরের বিষয়ে বলে থাক, এটি তলোয়ার, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দ্বারা ব্যাবিলনের বাদশাহ্র হস্তগত হল, এই নগরের বিষয়ে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, এই কথা বলেন;
37. দেখ, আমি নিজের ক্রোধ, কোপ ও প্রচণ্ড রোষে তাদেরকে যেসব দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছি, সেসব দেশ থেকে তাদেরকে সংগ্রহ করবো এবং পুনর্বার এই স্থানে আনবো ও নির্ভয়ে বাস করাব।
38. আর তারা আমার লোক হবে এবং আমি তাদের আল্লাহ্ হবো।
39. আর আমি তাদের ও তাদের পরে তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য তাদেরকে এক অন্তর ও এক পথ দেব, যেন তারা চিরকাল আমাকে ভয় করে।
40. আমি তাদের সঙ্গে এই নিত্যস্থায়ী নিয়ম স্থির করবো যে, তাদের প্রতি কখনও বিমুখ হব না, তাদের মঙ্গল করবো এবং তারা যেন আমাকে পরিত্যাগ না করে, এজন্য আমার প্রতি ভয় তাদের অন্তঃকরণে স্থাপন করবো।
41. আমি তাদের মঙ্গলার্থে তাদের বিষয়ে আনন্দ করবো এবং বিশ্বস্তভাবে সর্বান্তঃকরণে ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাদেরকে এই দেশে রোপণ করবো।
42. কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, আমি যেমন এই লোকদের উপরে এ সব মহৎ অমঙ্গল এনেছি, তেমনি তাদের যে সমস্ত মঙ্গল ওয়াদা করেছি, সেসবও আনবো।
43. আর এই যে দেশের বিষয়ে তোমরা বলছো, ‘এটা নরশূন্য ও পশুশূন্য ধ্বংসস্থান হয়েছে, কল্দীয়দের হস্তগত হয়েছে,