28. আর যেমন আমি তাদের উন্মূলন, উৎপাটন, নিপাত, বিনাশ ও অমঙ্গল করতে জাগ্রত ছিলাম, তেমনি তাদেরকে গাঁথতে ও রোপণ করতেও জাগ্রত থাকব, মাবুদ এই কথা বলেন।
29. সেই সময়ে লোকে আর বলবে না, পিতারা আঙ্গুর ফল খেয়েছিলেন, তাই সন্তানদের দাঁত টকেছে।
30. কিন্তু প্রত্যেকে নিজ নিজ অপরাধের দরুন মরবে; যে ব্যক্তি আঙ্গুর ফল খাবে তারই দাঁত টকে যাবে।
31. মাবুদ বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যে সময়ে আমি ইসরাইল-কুল ও এহুদা-কুলের সঙ্গে একটি নতুন নিয়ম স্থির করবো।
32. মিসর দেশ থেকে তাদের পূর্বপুরুষদেরকে হাত ধরে বের করে আনবার দিনে আমি তাদের সঙ্গে যে নিয়ম স্থির করেছিলাম, সেই নিয়মানুসারে নয়; আমি তাদের স্বামী হলেও তারা আমার সেই নিয়ম লঙ্ঘন করলো, মাবুদ এই কথা বলেন।
33. কিন্তু সেই সকল দিনের পর আমি ইসরাইল-কুলের সঙ্গে এই নিয়ম স্থির করবো, মাবুদ এই কথা বলেন, আমি তাদের অন্তরে আমার শরীয়ত দেব ও তাদের অন্তরে তা লিখব; এবং আমি তাদের আল্লাহ্ হব ও তারা আমার লোক হবে।
34. আর, ‘তোমরা মাবুদকে জান,’ এই কথা বলে তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীকে ও আপন আপন ভাইকে আর শিক্ষা দেবে না; কারণ তারা ক্ষুদ্র ও মহান সকলেই আমাকে জানবে, মাবুদ এই কথা বলেন; কেননা আমি তাদের অপরাধ মাফ করবো এবং তাদের গুনাহ্ আর স্মরণে আনবো না।
35. যিনি দিনের বেলায় আলোর জন্য সূর্যকে এবং রাতের বেলায় আলোর জন্য চাঁদকে ও তারাগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়ম দেন, যিনি সমুদ্রকে আলোড়ন করলে তার তরঙ্গ কল্লোল-ধ্বনি করে, সেই মাবুদ এই কথা বলেন;
36. ‘বাহিনীগণের মাবুদ’ তাঁর নাম; যদি এসব নিয়ম আমার সম্মুখ থেকে অদৃশ্য হয়,— মাবুদ এই কথা বলেন,— তবে আমার সম্মুখে নিত্যস্থায়ী জাতি হিসেবে ইসরাইল-বংশের অবস্থিতিও শেষ হবে।