11. কারণ মাবুদ ইয়াকুবকে উদ্ধার করেছেন, তার চেয়েও বেশি বলবানের হাত থেকে তাকে মুক্ত করেছেন।
12. তারা এসে উঁচু সিয়োনে আনন্দগান করবে এবং স্রোতের মত প্রবাহিত হয়ে মাবুদের মঙ্গলদানের কাছে, গম, আঙ্গুর-রস, তেল, ভেড়ার বাচ্চাগুলোর ও বাছুরগুলোর জন্য আসবে এবং তাদের প্রাণ সুসিক্ত বাগানের মত হবে;
13. তারা আর অবসন্ন হবে না। তখন কন্যারা নেচে আনন্দ করবে এবং যুবকেরা ও বৃদ্ধেরা একত্র হয়ে আনন্দ করবে; কারণ আমি তাদের শোক উল্লাসে পরিণত করবো; তাদের সান্ত্বনা দেব ও দুঃখ ঘুচিয়ে আহ্লাদিত করবো।
14. আর আমি পুষ্টিকর দ্রব্য দ্বারা ইমামদের প্রাণ আপ্যায়িত করবো এবং আমার মঙ্গলদান দ্বারা আমার লোকেরা তৃপ্ত হবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
15. মাবুদ এই কথা বলেন, রামায় আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, হাহাকার ও ভীষণ কান্নাকাটি হচ্ছে! রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে, সে তার সন্তানদের বিষয়ে প্রবোধ কথা মানে না, কেননা তারা নেই।
16. মাবুদ এই কথা বলেন, তোমার কান্নার আওয়াজ ও চোখের পানি মুছে ফেল; কেননা তোমার কাজের পুরস্কার দেওয়া হবে, মাবুদ এই কথা বলেন, আর তারা দুশমনের দেশ থেকে ফিরে আসবে।
17. তোমার শেষকালের বিষয়ে প্রত্যাশা আছে, মাবুদ এই কথা বলেন; হ্যাঁ, তোমার সন্তানেরা নিজেদের অঞ্চলে ফিরে আসবে।
18. আমি আফরাহীমের স্বর স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি; সে খেদোক্তি করে বলেছে, ‘যাকে বশ করা হয় নি এমন বাছুরটির মত তুমি আমাকে শাস্তি দিয়েছ, আমি শাস্তি ভোগ করেছি; আমাকে ফিরাও, তাতে আমি ফিরব, কেননা তুমিই আমার আল্লাহ্ মাবুদ।
19. আমি ফিরার পর অনুতাপ করলাম ও শিক্ষা পাবার পর ঊরুদেশে আঘাত করলাম; আমি লজ্জিত ও নিতান্ত বিষণ্ন হলাম, কেননা নিজের যৌবনকালের অপযশ বহন করলাম।’
20. আফরাহীম কি আমার প্রিয় পুত্র? সে কি আনন্দদায়ী বালক? হ্যাঁ, যতবার আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলি, ততবার পুনরায় তাকে সাগ্রহে স্মরণ করি; এই কারণে তার জন্য আমার অন্তর ব্যাকুল হয়; অবশ্য আমি তার প্রতি করুণা করবো, মাবুদ এই কথা বলেন।
21. তুমি স্থানে স্থানে নিজের জন্য পথের চিহ্ন রাখ, স্তম্ভ স্থাপন কর, যে পথে গমন করেছিলে, সেই রাজপথে মনোনিবেশ কর; হে ইসরাইল-কুমারী, ফিরে এসো; তোমার এসব নগরে ফিরে এসো।