7. হায়! সেদিন মহৎ, তার মত দিন আর নেই; এ ইয়াকুবের সঙ্কটকাল, কিন্তু এ থেকে সে নিস্তার পাবে।
8. বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, আমি সেদিন তোমার ঘাড় থেকে ওর জোয়াল ভেঙ্গে ফেলব, তোমার বন্ধনগুলো মুক্ত করবো এবং বিদেশীরা তাকে আর গোলামী করাবে না।
9. কিন্তু তারা নিজেদের আল্লাহ্ মাবুদের ও নিজেদের বাদশাহ্ দাউদের গোলামী করবে, আমি তাদের জন্য তাঁকেই উৎপন্ন করবো।
10. অতএব, হে আমার গোলাম ইয়াকুব, ভয় করো না, মাবুদ এই কথা বলেন; হে ইসরাইল, নিরাশ হয়ো না; কেননা দেখ, আমি দূর থেকে তোমাকে ও বন্দীদশার দেশ থেকে তোমার বংশকে নিস্তার করবো; ইয়াকুব ফিরে এসে নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে থাকবে, কেউ তাকে ভয় দেখাবে না।
11. কেননা তোমার উদ্ধারের জন্য আমিই তোমার সহবর্তী, মাবুদ এই কথা বলেন; কারণ আমি যাদের মধ্যে তোমাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছি, সেসব জাতিকে নিঃশেষে সংহার করবো; তোমাকে নিঃশেষে সংহার করবো না, কিন্তু ন্যায়বিচার করে শাস্তি দেব, কোন মতে অদণ্ডিত রাখবো না।
12. কারণ মাবুদ এই কথা বলেন, তোমার আঘাত অপ্রতিকার্য ও তোমার ক্ষত ব্যথাজনক।
13. তোমার পক্ষ সমর্থন করার কেউই নেই; তোমার ক্ষত ভাল করার ওষুধ নেই, তোমার সুস্থতা লাভ করার কোন আশাও নেই।
14. তোমার প্রেমিকরা সকলে তোমাকে ভুলে গেছে, তারা তোমার খোঁজ করে না; কারণ আমি তোমাকে দুশমনদের আঘাতের মত আঘাত করেছি, নির্দয়ের মত শাস্তি দিয়েছি; কেননা তোমার অপরাধ বহুল, তোমার গুনাহ্ প্রবল।
15. তোমার ক্ষতের জন্য কেন কান্নাকাটি কর? তোমার ব্যথা দুরারোগ্য; তোমার অপরাধ বহুল, তোমার গুনাহ্ প্রবল, এজন্য আমি তোমার প্রতি এসব করেছি।
16. অতএব যারা তোমাকে গ্রাস করে, তাদের সকলকে গ্রাস করা হবে; তোমার দুশমনদের সকলেই বন্দীদশার স্থানে যাবে; এবং যারা তোমার সম্পত্তি লুট করে, তারা লুণ্ঠিত হবে; ও যারা তোমার দ্রব্য হরণ করে, তাদের দ্রব্য আমি হরণ করাব।
17. কারণ আমি তোমার স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনবো ও তোমার ক্ষতগুলো ভাল করবো, মাবুদ এই কথা বলেন, কেননা তারা বলে, এ দূরীকৃতা, এ সেই সিয়োন, যার খোঁজ কেউ করে না।
18. মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি ইয়াকুবের তাঁবুগুলোর বন্দীদশা ফিরাব ও তার সমস্ত আবসের প্রতি করুণা করবো; তাতে নগর তার উপপর্বতের উপরে নির্মিত হবে ও রাজপুরীতে রীতিমত মানুষের বসতি হবে।
19. আর সেই স্থানের মধ্য থেকে প্রশংসা-গজল ও আনন্দকারীদের ধ্বনি বের হবে; আর আমি লোকদের বৃদ্ধি করবো, তারা হ্রাস পাবে না; আমি তাদেরকে গৌরবান্বিত করবো, তারা আর লঘু থাকবে না।