6. ইয়ারমিয়া নবী বললেন, আমিন; মাবুদ তা-ই করুন; মাবুদের গৃহের পাত্রগুলো ও বন্দী লোকগুলোকে ব্যাবিলন থেকে এই স্থানে ফিরিয়ে আনবার বিষয়ে তুমি যে যে ভবিষ্যদ্বাণী বললে, মাবুদ তোমার সেসব কালাম সিদ্ধ করুন।
7. কিন্তু আমি তোমার কর্ণগোচরে ও সমস্ত লোকের কর্ণগোচরে একটি কথা বলি, শোন।
8. আমার ও তোমার আগে সে কালের যে নবীরা ছিল, তারা অনেক দেশ ও মহৎ মহৎ রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, অমঙ্গল ও মহামারী বিষয়ক ভবিষ্যদ্বাণী বলেছিল।
9. যে নবী শান্তির ভবিষ্যদ্বাণী বলে, সেই নবীর কালাম সফল হলেই জানা যায় যে, মাবুদ সত্যিই সেই নবীকে প্রেরণ করেছেন।
10. তখন হনানিয় নবী ইয়ারমিয়া নবীর কাঁধ থেকে সেই জোয়াল নিয়ে ভেঙ্গে ফেললো।
11. আর হনানিয় সমস্ত লোক লোকের সাক্ষাতে বললো, মাবুদ এই কথা বলেন, দুই বছরের মধ্যে আমি ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের জোয়াল এভাবে ভেঙ্গে সমস্ত জাতির কাঁধ থেকে দূর করবো। পরে ইয়ারমিয়া নবী চলে গেলেন।
12. হনানিয় ইয়ারমিয়া নবীর কাঁধ থেকে জোয়াল নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার পর ইয়ারমিয়ার কাছে মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
13. তুমি গিয়ে হনানিয়কে বল, মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি কাঠের জোয়াল ভাঙ্গলে বটে, কিন্তু তার পরিবর্তে লোহার জোয়াল প্রস্তুত করবে।
14. কেননা বাহিনীগণের মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, এই কথা বলেন, এসব জাতি যেন ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের গোলাম হয়, সেজন্য আমি তাদের কাঁধে লোহার জোয়াল দিলাম; তারা তার গোলাম হবে; আর আমি তাকে মাঠের পশুগুলোও দিলাম।
15. তখন নবী ইয়ারমিয়া হনানিয় নবীকে বললেন, হে হনানিয়, শোন; মাবুদ তোমাকে প্রেরণ করেন নি, কিন্তু তুমি এই লোকদেরকে মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করাচ্ছ।
16. অতএব মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাকে ভূতল থেকে দূর করে দেব; তুমি এই বছরেই মরবে, কেননা তুমি মাবুদের বিরুদ্ধে বিপথগমনের কথা বলেছ।