17. যারা আমাকে অবজ্ঞা করে, তাদের কাছে তারা অবিরত বলে, মাবুদ বলেছেন, তোমাদের শান্তি হবে; এবং যারা নিজ নিজ হৃদয়ের কঠিনতায় চলে, তাদের প্রত্যেক জনকে বলে, অমঙ্গল তোমাদের কাছে আসবে না।
18. বাস্তবিক কে মাবুদের সভায় দাঁড়িয়ে দেখেছে ও তাঁর কালাম শুনেছে? কে আমার কথায় কান দিয়ে তা শুনতে পেয়েছে?
19. দেখ, মাবুদের ঝটিকা, তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধ, হ্যাঁ, ঘূর্ণিবাতাস বয়ে যাচ্ছে; তা দুষ্টদের মাথায় লাগবে।
20. যে পর্যন্ত মাবুদ তাঁর মনের অভিপ্রায় সফল ও সিদ্ধ না করেন, সে পর্যন্ত তাঁর ক্রোধ ফিরবে না; তোমরা শেষকালে তা সমপূর্ণভাবে বুঝতে পারবে।
21. আমি সেই নবীদেরকে প্রেরণ করি নি, তারা নিজেরা দৌড়েছে; আমি তাদেরকে বলি নি, তারা নিজেরা ভবিষ্যদ্বাণী বলেছে।
22. কিন্তু তারা যদি আমার সভায় দাঁড়াত, তবে আমার লোকদেরকে আমার কালাম শোনাত এবং তাদের কুপথ ও তাদের নাফরমানী কাজ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখত।
23. মাবুদ বলেন, আমি কি কেবল কাছের আল্লাহ্, দূরের কি আল্লাহ্ নই?
24. মাবুদ বলেন, এমন গুপ্ত স্থানে কি কেউ লুকাতে পারে যে, আমি তাকে দেখতে পাব না? আমি কি বেহেশত ও দুনিয়ার সমস্ত স্থান জুড়ে থাকি না? মাবুদ এই কথা বলেন।
25. নবীরা যা বলেছে, তা আমি শুনেছি, তারা আমার নামে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলে, যথা, আমি স্বপ্ন দেখেছি, স্বপ্ন দেখেছি।
26. যে নবীরা মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলে, যারা নিজের অন্তঃকরণের কপটতার নবী, তাদের অন্তঃকরণে তা কত কাল থাকবে?
27. তাদের সঙ্কল্প এই, তাদের পূর্বপুরুষেরা বাল দেবতার দরুন যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিল, তেমনি তারা নিজ নিজ প্রতিবেশীর কাছে নিজ নিজ স্বপ্নের বৃত্তান্ত কথন দ্বারা আমার লোকদেরকে আমার নাম ভুলে যেতে দেবে।
28. যে নবী স্বপ্ন দেখেছে, সে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বলুক; এবং যে আমার কালাম পেয়েছে, সে সত্যরূপে আমার কালামই বলুক। মাবুদ বলেন, শস্যের কাছে খড়ের মূল্য কি?
29. মাবুদ বলেন, আমার কালাম কি আগুনের মত নয়? তা কি হাতুড়ির মত নয়, যা পাথর টুকরা টুকরা করে?
30. অতএব মাবুদ বলেন, দেখ, যেসব নবী নিজ নিজ প্রতিবেশী থেকে আমার কালাম হরণ করে, আমি তাদের বিপক্ষ।
31. মাবুদ বলেন, দেখ, আমি সেই সকল নবীর বিপক্ষ, যারা নিজ নিজ জিহ্বা ব্যবহার করে বলে, ‘তিনিই বলেন।’
32. মাবুদ বলেন, দেখ, আমি তাদের বিপক্ষ, যারা মিথ্যা স্বপ্নের ভবিষ্যদ্বাণী বলে ও তার বৃত্তান্ত বলে, নিজেদের মিথ্যা কথা ও দাম্ভিকতা দ্বারা আমার লোকদেরকে ভ্রান্ত করে; কিন্তু আমি তাদেরকে পাঠাই নি, তাদেরকে হুকুম দেই নি; তারা এই লোকদের কিছুমাত্র উপকারী হতে পারে না, মাবুদ এই কথা বলেন।
33. আর যে সময়ে এসব লোক কিংবা কোন নবী বা ইমাম তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, মাবুদের দৈববাণী কি? তখন তুমি তাদেরকে বলবে, তোমরাই প্রভুর ভার! মাবুদ বলেন, আমি তোমাদেরকে দূর করে দেব।
34. আর যে কোন নবী, ইমাম বা সামান্য লোক বলবে, ‘মাবুদের দৈববাণী,’ তাকে ও তার কুলকে আমি প্রতিফল দেব।
35. তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীকে ও আপন আপন ভাইকে এই কথা বলবে, মাবুদ কি জবাব দিয়েছেন?
36. আর, মাবুদ কি বলেছেন? কিন্তু ‘মাবুদের দৈববাণী,’ এই কথা আর উচ্চারণ করো না; কারণ প্রত্যেকে নিজের কথাই তার পক্ষে দৈববাণী হবে; কেননা তোমরা জীবন্ত আল্লাহ্র, আমাদের আল্লাহ্ বাহিনীগণের মাবুদের কালাম বিপরীত করেছ।