11. কোন জাতি কি নিজেদের দেবতাদের পরিবর্তন করেছে? সেই দেবতারা তো আল্লাহ্ নয়। কিন্তু আমার লোকেরা এমন বস্তুর সঙ্গে নিজেদের গৌরবের পরিবর্তন করেছে, যাতে উপকার নেই।
12. হে আসমান, এতে স্তম্ভিত হও, রোমাঞ্চিত হও, নিতান্ত অসার হয়ে পড়, মাবুদ এই কথা বলেন।
13. কেননা আমার লোকবৃন্দ দু’টি দোষ করেছে; জীবন্ত পানির ফোয়ারা যে আমি, আমাকে তারা ত্যাগ করেছে; আর নিজেদের জন্য কুয়া খনন করেছে, সেসব ভগ্ন কুয়া জলাধার হতে পারে না।
14. ইসরাইল কি গোলাম? সে কি বাড়িতে জন্ম নেওয়া কেনা গোলাম? সে কেন লুটদ্রব্য হয়েছে?
15. যুবসিংহরা তার উপরে গর্জন ও হুঙ্কার করেছে; তারা তার দেশ ধ্বংস করেছে; তার নগরগুলা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নিবাসী কেউ নেই।
16. আবার নোফের ও তফনহেষের লোকেরা তোমার মাথা মুড়িয়েছে।
17. তুমি কি নিজে নিজের প্রতি এটা ঘটাও নি? বাস্তবিক তোমার আল্লাহ্ মাবুদ যখন তোমাকে পথ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তুমি তাঁকে পরিত্যাগ করেছ।
18. এখন শীহোর নদীর পানি পান করতে মিসরের পথে কেন যাচ্ছ? অথবা ফোরাত নদীর পানি পান করতে আশেরিয়া দেশের পথে কেন যাচ্ছ?
19. তোমারই নাফরমানী তোমাকে শাস্তি দেবে এবং তোমার বিপথে যাওয়াই তোমাকে অনুযোগ করবে; অতএব জেনো আর দেখো, এটা মন্দ ও তিক্ত বিষয় যে, তুমি তোমার আল্লাহ্ মাবুদকে পরিত্যাগ করেছ ও মনের মধ্যে আমার ভয়কে স্থান দাও নি, এই কথা প্রভু, বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
20. বস্তুত অনেক দিন হল, আমি তোমার জোয়াল ভেঙ্গে ফেলেছিলাম, তোমার বন্ধনগুলো কেটে ফেলেছিলাম; আর তুমি বলেছিলে, আমি গোলামী করবো না; বাস্তবিক সমস্ত উঁচু পর্বতের উপরে ও সমস্ত সবুজ গাছের তলে তুমি নত হয়ে জেনা করে আসছ।
21. আমি তো একেবারে উৎকৃষ্ট জাতের উত্তম আঙ্গুরলতা করে তোমাকে রোপণ করেছিলাম, তুমি কেমন করে বিকৃত হয়ে আমার কাছে বিজাতীয় আঙ্গুরলতার ডাল হলে?
22. যদিও ক্ষার দিয়ে তুমি নিজেকে ধোও ও অনেক সাবান লাগাও, তবুও তোমার অপরাধের দাগ আমার সম্মুখে রয়েছে, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
23. তুমি কেমন করে বলতে পার, আমি নাপাক নই, বাল দেবতাদের পিছনে যাই নি? উপত্যকাতে তোমার পথ দেখ; যা করেছ, তা চিন্তা করে দেখ; তুমি তোমার পথে ভ্রমণকারিণী উট; তুমি মরুভূমি-পরিচিতা বন্য গাধী,
24. যা অভিলাষক্রমে বায়ু আহার করে; তার কামাবেশে কে তাকে ফিরাতে পারে? যারা তার খোঁজ করে তারা নিজেদের ক্লান্ত করবে না, তার নিয়মিত মাসে তাকে পাবে।