11. অতএব এখন তুমি গিয়ে এহুদার লোকদের ও জেরুশালেম-নিবাসীদেরকে বল, মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে অমঙ্গল প্রস্তুত করছি, তোমাদের বিরুদ্ধে সঙ্কল্প করছি; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ কুপথ থেকে ফির, নিজ নিজ পথ ও নিজ নিজ কাজকর্ম ভাল কর।
12. কিন্তু তারা বলে, আশা নেই, কেননা আমরা নিজেদেরই সঙ্কল্প অনুসারে চলবো, প্রত্যেকে নিজ নিজ দুষ্ট হৃদয়ের কঠিনতা অনুসারে কাজ করবো।
13. এজন্য মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা এখন জাতিদের মধ্যে জিজ্ঞাসা কর, এরকম কথা কে শুনেছে? কুমারী ইসরাইল অত্যন্ত জঘন্য কাজ করেছে।
14. লেবাননের তুষার কি তার পর্বতের ভাঙ্গন দিয়ে উধাও হয়ে যায়? কিংবা দূর থেকে আগত সুশীতল পানির স্রোত কি বন্ধ হয়?
15. বাস্তবিক আমার লোকেরা আমাকে ভুলে গেছে, তারা অসার মূর্তির উদ্দেশে ধূপ জ্বালাচ্ছে এবং এরা তাদের পথে, চিরন্তন পথে উচোট খেয়েছে, তারা সঠিক পথে না গিয়ে বিপথের পথিক হয়েছে।
16. এতে তারা তাদের দেশকে বিস্ময়ের ও নিত্যবিদ্রূপের বিষয় করে; যে কেউ তার কাছ দিয়ে গমন করবে, সে বিস্ময়াপন্ন হয়ে মাথা নাড়বে।
17. যেমন পূর্বীয় বায়ু করে, তেমনি আমি দুশমনদের সম্মুখে তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করবো; তাদের বিপদের সময়ে তাদেরকে পিঠ দেখাব, মুখ নয়।
18. তখন তারা বললো, চল, আমরা ইয়ারমিয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ করি, কেননা ইমামের কাছ থেকে শরীয়ত, জ্ঞানবানের কাছ থেকে মন্ত্রণা ও নবীর কাছ থেকে কালাম চলে যাবে না; চল, আমরা জিহ্বা দ্বারা ওকে প্রহার করি, ওর কোন কথায় মনোযোগ না করি।
19. হে মাবুদ, আমার প্রতি মনোযোগ দাও, যারা আমার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাদের কথা শোন।
20. উপকারের বদলে কি অপকার করা হবে? তারা তো আমার প্রাণের জন্য গর্ত খনন করেছে। স্মরণ কর, তাদের থেকে তোমার গজব ফিরাবার চেষ্টায় আমি তাদের পক্ষে মঙ্গলের কথা বলবার জন্য তোমার সম্মুখে দাঁড়াতাম।
21. অতএব তুমি তাদের সন্তানদেরকে দুর্ভিক্ষের হাতে তুলে দাও, তাদেরকে তলোয়ারের হস্তগত কর, আর তাদের স্ত্রীরা পুত্রহীনা ও বিধবা হোক, তাদের পুরুষেরা মহামারীতে বিনষ্ট ও তাদের যুবকেরা যুদ্ধে তলোয়ারের আঘাতপ্রাপ্ত হোক।
22. তুমি তাদের প্রতি অকস্মাৎ সৈন্যদল উপস্থিত করলে তাদের বাড়িগুলো থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা যাক; কেননা তারা আমাকে ধরবার জন্য গর্ত খনন করেছে ও আমার পায়ের জন্য গোপনে ফাঁদ পেতেছে।