8. কিন্তু তারা সকলে পশুর মত ও স্থূলবুদ্ধি সম্পন্ন; তাদের মূর্তিগুলো যে শিক্ষা দেয় তা কাঠের মতই অসার।
9. তর্শীশ থেকে রূপার পাত ও ঊফস থেকে সোনা আনা হয়; মূর্তিগুলো কারুকরের কৃত ও স্বর্ণকারের হাতের তৈরি; তাদের পরিচ্ছদ নীল ও বেগুনে, সে সবই শিল্পনিপুণ লোকদের হাতের কাজ।
10. কিন্তু মাবুদ সত্য আল্লাহ্; তিনিই জীবন্ত আল্লাহ্ ও অনন্তকালস্থায়ী বাদশাহ্; তাঁর ক্রোধে দুনিয়া কেঁপে ওঠে এবং তাঁর কোপ জাতিরা সইতে পারে না।
11. তোমরা ওদেরকে এই কথা বল, ‘যে দেবতারা আসমান ও দুনিয়া গঠন করে নি, তারা দুনিয়া থেকে ও আসমানের নিচ থেকে উচ্ছিন্ন হবে’।
12. তিনি নিজের শক্তিতে দুনিয়া গঠন করেছেন, নিজের জ্ঞানে দুনিয়া স্থাপন করেছেন, নিজের বুদ্ধিতে আসমান বিস্তার করেছেন।
13. তিনি গর্জে উঠলে আসমানে জলরাশির আওয়াজ হয়, তিনি দুনিয়ার প্রান্ত থেকে বাষ্প উত্থাপন করেন; তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ গঠন করেন, তিনি তাঁর ভাণ্ডার থেকে বায়ু বের করে আনেন।
14. প্রত্যেক মানুষ পশুর মত হয়েছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তি দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তার মধ্যে শ্বাসবায়ু নেই।
15. সেসব অসার, মায়ার কর্মমাত্র; তাদের প্রতিফল দানকালে তারা বিনষ্ট হবে।
16. যিনি ইয়াকুবের অধিকার, তিনি সেরকম নন; কারণ তিনি সমস্ত বস্তুর গঠনকারী এবং ইসরাইল তাঁর অধিকাররূপ বংশ; তাঁর নাম বাহিনীগণের মাবুদ!
17. হে অবরুদ্ধস্থান-নিবাসীনী! তুমি ভূমি থেকে তোমার সামগ্রী কুড়িয়ে নাও।
18. কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি এই সময়ে দেশীয় লোকদেরকে ফিঙ্গার পাথরের মত নিক্ষেপ করবো এবং এমন সঙ্কটাপন্ন করবো যে, তারা টের পাবে।
19. হায় হায়, আমার কেমন ক্ষত! আমার ক্ষত অতি বেদনাযুক্ত; তবুও আমি বললাম, এ আমার অসুস্থতা, আমি তা সহ্য করবো।