6. কিন্তু তোমরা সেই দরিদ্রকে অসম্মান করেছ। ধনবানেরাই কি তোমাদের প্রতি জুলুম করে না? তারাই কি তোমাদেরকে টেনে নিয়ে বিচার-স্থানে যায় না?
7. যে উত্তম নাম তোমাদের উপরে কীর্তিত হয়েছে, তারাই কি সেই নামের নিন্দা করে না?
8. যা হোক, “তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত কোরো,” পাক-কিতাবের এই কথা অনুসারে যদি তোমরা রাজকীয় শরীয়ত পালন কর, তবে ভাল করছো।
9. কিন্তু যদি পক্ষপাতিত্ব কর, তবে গুনাহ্ করছো এবং শরীয়ত দ্বারা তোমাদেরকে হুকুম লঙ্ঘনকারী বলে দোষী করা হচ্ছে।
10. কারণ যে কেউ সমস্ত শরীয়ত পালন করে, কেবল একটি বিষয়ে হোঁচট খায়, সে সকলেরই দায়ী হয়েছে।
11. কেননা যিনি বলেছেন, “জেনা করো না,” তিনিই আবার বলেছেন, “নরহত্যা করো না;” ভাল, তুমি যদি জেনা না করে খুন কর, তা হলে শরীয়তের লঙ্ঘনকারী হয়েছ।
12. তোমরা স্বাধীনতার শরীয়ত দ্বারা বিচারিত হবে বলে তদনুরূপ কথা বল ও কাজ কর।
13. কেননা যে ব্যক্তি করুণা করে নি, বিচার তার প্রতি নির্দয়; করুণাই বিচারের উপর জয়ী হয়।
14. হে আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে, আমার ঈমান আছে, আর তার কাজ না থাকে, তবে তাতে তার কি লাভ হবে? সেই ঈমান কি তাকে নাজাত দিতে পারে?
15. কোন ভাই কিংবা বোনের কাপড়-চোপড় না থাকলে ও প্রতিদিন যে খাবার প্রয়োজন তা না থাকে আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাদেরকে বলে,
16. সহি-সালামতে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাদেরকে দেহের প্রয়োজনীয় বস্তু না দাও, তবে তাতে কি লাভ হবে?
17. তেমনি ঈমানের সঙ্গে কাজ যুক্ত না থাকলে নিজে একা বলে তা মৃত।
18. কিন্তু কেউ বলবে তোমার ঈমান আছে, আর আমার কাজ আছে; তোমার কাজ ছাড়া ঈমান আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কাজের মধ্য দিয়ে ঈমান দেখাব।
19. তুমি ঈমান এনেছো যে, আল্লাহ্ এক, ভালই করছো; বদ-রূহ্রাও তা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।
20. কিন্তু হে অসার মানুষ, তুমি কি জানতে চাও যে, কাজ ছাড়া ঈমান কোন কাজের নয়?
21. আমাদের পিতা ইব্রাহিমকে তাঁর কাজের জন্য, অর্থাৎ কোরবানগাহ্র উপরে তাঁর পুত্র ইস্হাককে কোরবানী করার জন্য কি ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় নি?