14. হে আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে, আমার ঈমান আছে, আর তার কাজ না থাকে, তবে তাতে তার কি লাভ হবে? সেই ঈমান কি তাকে নাজাত দিতে পারে?
15. কোন ভাই কিংবা বোনের কাপড়-চোপড় না থাকলে ও প্রতিদিন যে খাবার প্রয়োজন তা না থাকে আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাদেরকে বলে,
16. সহি-সালামতে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাদেরকে দেহের প্রয়োজনীয় বস্তু না দাও, তবে তাতে কি লাভ হবে?
17. তেমনি ঈমানের সঙ্গে কাজ যুক্ত না থাকলে নিজে একা বলে তা মৃত।
18. কিন্তু কেউ বলবে তোমার ঈমান আছে, আর আমার কাজ আছে; তোমার কাজ ছাড়া ঈমান আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কাজের মধ্য দিয়ে ঈমান দেখাব।
19. তুমি ঈমান এনেছো যে, আল্লাহ্ এক, ভালই করছো; বদ-রূহ্রাও তা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।
20. কিন্তু হে অসার মানুষ, তুমি কি জানতে চাও যে, কাজ ছাড়া ঈমান কোন কাজের নয়?
21. আমাদের পিতা ইব্রাহিমকে তাঁর কাজের জন্য, অর্থাৎ কোরবানগাহ্র উপরে তাঁর পুত্র ইস্হাককে কোরবানী করার জন্য কি ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় নি?
22. তুমি দেখছো, ঈমান তাঁর কাজের সহকারী ছিল এবং কাজের জন্য তাঁর ঈমান সিদ্ধ হল;
23. তাতে পাক-কিতাবের এই কথা পূর্ণ হল, “ইব্রাহিম আল্লাহ্র উপরে ঈমান আনলেন এবং তা তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণনা করা হল”, আর তিনি “আল্লাহ্র বন্ধু” এই নাম পেলেন।
24. তোমরা দেখছো, কাজের জন্য মানুষকে ধার্মিক বলে গণনা করা হয়, শুধু ঈমানের মধ্য দিয়ে নয়।