18. তিনি নিজের বাসনায় সত্যের কালাম দ্বারা আমাদেরকে জন্ম দিয়েছেন, যেন আমরা তাঁর সৃষ্ট বস্তুগুলোর মধ্যে এক রকম অগ্রিমাংশ হই।
19. হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা তো এই কথা জান। কিন্তু তোমারা প্রত্যেকে শুনবার জন্য আগ্রহী হও, কথাবার্তায় ধীর, ক্রোধে ধীর হও,
20. কারণ মানুষের ক্রোধ আল্লাহ্র ধার্মিকতা উপন্ন করে না।
21. অতএব তোমরা সকল নাপাকীতা এবং নাফরমানীর উচ্ছ্বাস ফেলে দিয়ে, মৃদুভাবে সেই রোপিত কালাম গ্রহণ কর, যা তোমাদের প্রাণের নাজাত সাধন করতে পারে।
22. আর কালামের কার্যকারী হও, নিজদেরকে ভুলিয়ে শ্রোতামাত্র হয়ো না।
23. কেননা যে কেউ কালামের শ্রোতামাত্র, কার্যকারী নয়, সে এমন ব্যক্তির মত যে আয়নায় নিজের স্বাভাবিক মুখ দেখে;
24. কারণ সে নিজেকে দেখলো, চলে গেল আর সে কিরূপ লোক, তা তখনই ভুলে গেল।
25. কিন্তু যে কেউ হেঁট হয়ে সিদ্ধ শরীয়তের, স্বাধীনতার শরীয়তের, প্রতি দৃষ্টিপাত করে ও তাতে নিবিষ্ট থাকে, ভুলে যাবার শ্রোতা না হয়ে কার্যকারী হয়, সেই নিজের কাজে ধন্য হবে।
26. যে ব্যক্তি নিজেকে ধার্মিক বলে মনে করে, আর নিজের জিহ্বাকে বলগা দ্বারা বশে না রাখে, কিন্তু নিজের হৃদয়কে ভুলায় তার ধর্ম মিথ্যা।
27. দুঃখ-কষ্টের সময়ে এতিমদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা এবং সংসার থেকে নিজেকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই হল পিতা আল্লাহ্র কাছে পবিত্র ও বিমল ধর্ম।