11. দৌরাত্ম্য বেড়ে নাফরমানীর দণ্ড হয়ে উঠছে; তাদের কেউই থাকবে না, তাদের লোকারণ্য বা তাদের ধন থাকবে না; তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতাও থাকবে না।
12. কাল আসছে, দিন সন্নিকট হল; ক্রেতা আনন্দ না করুক, বিক্রেতা শোক না করুক; কেননা, সেখানকার সমস্ত লোকারণ্যের উপরে গজব উপস্থিত।
13. বস্তুত উভয়ে জীবিত অবস্থায় থাকলেও বিক্রেতা বিক্রি হয়ে যাওয়া অধিকারের কাছে ফিরে যাবে না, কেননা এই দর্শন সেখানকার সমস্ত লোকারণ্য বিষয়ক; কেউ ফিরে যাবে না; তাদের জীবনের অপরাধে কেউ তাদের জীবাত্মা সবল করতে পারবে না।
14. তারা তূরী বাজিয়ে সবকিছু প্রস্তুত করেছে, কিন্তু কেউ যুদ্ধে গমন করে না, কেননা আমার ক্রোধ সেখানকার সমস্ত লোকারণ্যের প্রতি উপস্থিত।
15. বাইরে তলোয়ার এবং ভিতরে মহামারী ও দুর্ভিক্ষ। যে ব্যক্তি ক্ষেতে থাকবে, সে তলোয়ারের আঘাতে মরবে; যে নগরে থাকবে, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী তাকে গ্রাস করবে।
16. কিন্তু তাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা রক্ষা পাবে, তারা পর্বতমালার উপরে থেকে উপত্যকাস্থ ঘুঘুর মত হবে, সকলে নিজ নিজ অপরাধের কারণে মাতম করবে।
17. সকলের হাত দুর্বল হবে, সকলের হাঁটু পানির মত দ্রব হবে।
18. তারা কোমরে চট বাঁধবে, মহাত্রাসে আচ্ছন্ন হবে, সকলের মুখে চুন পড়বে, তাদের সকলের মাথায় টাক পড়বে।
19. তারা নিজ নিজ রূপা চকে ফেলে দেবে, তাদের সোনা নাপাক বস্তু হবে; মাবুদের ক্রোধের দিনে তাদের সোনা বা রূপা তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না; তা তাদের প্রাণ তৃপ্ত, কিংবা তাদের উদর পূর্ণ করবে না কেননা তা-ই তাদের উচোট খাইয়ে গুনাহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
20. তারা তাদের সুন্দর গহনার জন্য গর্ব করতো এবং তা দিয়ে তাদের ঘৃণ্য বস্তুগুলোর মূর্তি ও জঘন্য বস্তু গড়তো, এই কারণ আমি তা তাদের নাপাক বস্তু করলাম।
21. আর আমি তা শিকারের বস্তু হিসেবে বিদেশীদের হাতে ও লুটদ্রব্য হিসেবে দুনিয়ার দুষ্ট লোকদের হাতে তুলে দেব, তারা তা নাপাক করবে।