4. পরে তিনি তার লম্বা বিশ হাত ও এবাদতখানার অগ্রদেশে তার চওড়া বিশ হাত মাপলেন এবং আমাকে বললেন, এটি মহা-পবিত্র স্থান।
5. পরে তিনি এবাদতখানার দেয়াল ছয় হাত ও চারদিকে এবাদতখানা বেষ্টনকারী প্রত্যেক পাশের কুঠরীর চার হাত চওড়া মাপলেন।
6. একতলার উপরে অন্য তলা, এভাবে তিন তলা পর্যন্ত পাশের কুঠরীগুলো ছিল, তার একেক তলায় ত্রিশ কুঠরী ছিল; এবং এবাদতখানার সঙ্গে সংলগ্ন হবার জন্য চারদিকের সকল পাশে অবস্থিত কুঠরীগুলোর জন্য এবাদতখানার গায়ে একটি দেয়াল ছিল; তার উপরে সেসব নির্ভর করতো, কিন্তু এবাদতখানার দেয়ালের মধ্যে ঢুকানো ছিল না।
7. আর উচ্চতা অনুসারে কুঠরীগুলো উত্তরোত্তর প্রশস্ত হয়ে এবাদতখানা বেষ্টন করলো, কারণ তা চারদিকে ক্রমশ উঁচু হয়ে এবাদতখানা বেষ্টন করলো, এজন্য উচ্চতা অনুসারে এবাদতখানার গায়ে উত্তরোত্তর প্রশস্ত হল; এবং নিচের তলা থেকে মধ্য তলা দিয়ে উপরের তলায় যাবার পথ ছিল।
8. আরও দেখলাম, এবাদতখানার মেজে চারদিকে উঁচু, পাশে অবস্থিত কুঠরীগুলো ছয় হাত পরিমিত সমপূর্ণ এক এক নল।
9. বাইরের দিকে অবস্থিত কুঠরীগুলোর যে দেয়াল, তা পাঁচ হাত মোটা ছিল এবং অবশিষ্ট শূন্য স্থান এবাদতখানার পাশে অবস্থিত সেসব কুঠরীর স্থান ছিল।
10. কুঠরীগুলোর মধ্যে এবাদতখানার চারদিকে প্রত্যেক পাশে বিশ হাত চওড়া স্থান ছিল।
11. আর পাশে অবস্থিত এই কুঠরীগুলোর দ্বার সেই শূন্য স্থানের দিকে ছিল, তার একটি দ্বার উত্তর দিকে, অন্য দ্বারটি দক্ষিণ দিকে ছিল; এবং চারদিকে সেই শূন্য স্থানের চওড়া ছিল পাঁচ হাত।
12. আর খোলা স্থানের সম্মুখে পশ্চিম দিকে যে গাঁথুনি ছিল, তার চওড়া সত্তর হাত ছিল এবং চারদিকে সেই গাঁথনির দেয়ালটি পাঁচ হাত মোটা ছিল; এবং তার লম্বা নব্বই হাত ছিল।
13. পরে তিনি এবাদতখানার লম্বা একশত হাত এবং খোলা স্থানের, গাঁথুনি ও তার দেয়ালের লম্বা একশত হাত মাপলেন।
14. আর পূর্ব দিকে এবাদখানা ও খোলা স্থানের অগ্রদেশ একশত হাত চওড়া ছিল।
15. আর তিনি খোলা স্থানের সম্মুখভাগে অবস্থিত গাঁথনির লম্বা, অর্থাৎ ওর পিছনে যা ছিল, তা এবং এদিকে ওদিকে ওর অপ্রশস্ত বারান্দা একশত হাত মাপলেন এবং এবাদতখানার ভিতরখানা ও প্রাঙ্গণের বারান্দাগুলো মাপলেন।
16. চারদিকে গোবরাট, জালবদ্ধ জানালা এবং অপ্রশস্ত বারান্দা ছিল, এক একটি কপাটের সম্মুখে চারদিকে কাঠের তিরস্করিণী ভূমি থেকে জানালা পর্যন্ত ছিল; আর জানালাগুলো আচ্ছাদিত ছিল;
17. আর প্রবেশস্থানের উপরের স্থান, অন্তর্গৃহ, বাইরের স্থান ও সমস্ত দেয়াল, চারদিকে ভিতরে ও বাইরে যা যা ছিল, সকলের বিশেষ বিশেষ পরিমাণ নির্ধারিত হল।
18. আর ওতে কারুবী ও খেজুরের শিল্পকর্ম ছিল, দু’টা করে কারুবীর মধ্যে এক একটি খেজুর গাছ এবং এক একটি কারুবীর দু’টি করে মুখ ছিল।
19. বস্তুত এক পাশের খেজুরের দিকে মানুষের মুখ এবং অন্য পাশের খেজুরের দিকে সিংহের মুখ চারদিকে সমস্ত গৃহে শিল্পীত ছিল।
20. ভূমি থেকে দ্বারের উপরিভাগ পর্যন্ত সেই কারুবী ও খেজুর শিল্পীত ছিল; এটি এবাদতখানার দেয়াল।
21. এবাদতখানার দ্বারকাঠগুলো চারকোনা বিশিষ্ট এবং পবিত্র স্থানের সম্মুখভাগের আকৃতিও সেই রকম ছিল।