38. দ্বারগুলোর উপস্তম্ভের কাছে দ্বারযুক্ত একটি কুঠরী ছিল; সেখানে লোকেরা পোড়ানো-কোরবানী ধুয়ে নিত।
39. আর দ্বারের বারান্দায় এদিকে দুই টেবিল, ওদিকে দুই টেবিল ছিল, তার কাছে পোড়ানো-কোরবানী, গুনাহ্ কোরবানী ও দোষ-কোরবানী পশু জবেহ্ করা হত।
40. আর দ্বারের পাশে বাইরে উত্তরদ্বারের প্রবেশস্থানে সিঁড়ির কাছে দু’টি টেবিল ছিল, আবার দ্বারের বারান্দার পার্শ্ববর্তী অন্য পাশে দু’টি টেবিল ছিল।
41. দ্বারের পাশে এদিকে চারটি টেবিল, ওদিকে চারটি টেবিল ছিল; সবসুদ্ধ আটটি টেবিল ছিল যার উপরে কোরবানীর যন্ত্রপাতি রাখা হত।
42. আর পোড়ানো-কোরবানীর জন্য চারটি টেবিল ছিল, তা মসৃণ করা পাথর দিয়ে তৈরি এবং দেড় হাত লম্বা, দেড় হাত চওড়া ও এক হাত উঁচু ছিল; পোড়ানো-কোরবানীর ও অন্য কোরবানীর পশু যা দ্বারা জবেহ্ করা হত, সেসব অস্ত্র সেখানে রাখা যেত।
43. আর চার আঙ্গুল লম্বা আঁকড়া চারদিকের দেয়ালে মারা ছিল এবং টেবিলগুলোর উপরে উপহারের গোশ্ত রাখা যেত।
44. আর ভিতরের দ্বারের বাইরে গায়কদের কুঠরী অন্তঃপ্রাঙ্গণে ছিল, একটি ছিল, উত্তরদ্বারের পাশে, সেটি দক্ষিণমুখী; আর একটি ছিল, পূর্বদ্বারের পাশে, সেটি উত্তরমুখী।
45. পরে তিনি আমাকে বললেন, যে ইমামেরা এবাদতখানার দেখাশোনার কাজ করে, এই দক্ষিণমুখী কুঠরী তাদের হবে।
46. আর যে ইমামেরা কোরবানগাহ্র দেখাশোনার কাজ করে, এই উত্তরমুখী কুঠরী তাদের হবে। এরা সাদোকের সন্তান, লেবির সন্তানদের মধ্যে এরাই মাবুদের পরিচর্যা করার জন্য তাঁর কাছে আসে।
47. পরে তিনি সেই প্রাঙ্গণ মাপলেন, তা একশত হাত লম্বা ও একশত হাত চওড়া, চারদিকে সমান ছিল; কোরবানগাহ্ এবাদতখানার সম্মুখে ছিল।
48. পরে তিনি আমাকে এবাদতখানার বারান্দায় নিয়ে গিয়ে সেই বারান্দার উপস্তম্ভগুলো মাপলেন; প্রত্যেকটি এদিকে পাঁচ হাত, ওদিকে পাঁচ হাত পরিমিত; এবং দ্বারের চওড়া এদিকে তিন হাত, ওদিকে তিন হাত পরিমিত ছিল।
49. বারান্দাটি লম্বায় বিশ হাত ও চওড়ায় এগার হাত ছিল; এবং দশ ধাপ দিয়ে লোকে তাতে উঠতো; আর উপস্তম্ভের কাছে এদিকে একটি স্তম্ভ, ওদিকে একটি স্তম্ভ ছিল।