20. তবুও তোমরা বলেছো, প্রভুর পথ সরল নয়। হে ইসরাইল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের পথ অনুসারে তোমাদের বিচার করবো।
21. আর আমাদের নির্বাসনের বারো বছরের দশম মাসের পঞ্চম দিনে জেরুশালেম থেকে এক জন পলাতক আমার কাছে এসে বললো, নগরের পতন হয়েছে।
22. আর সেই পলাতকের আসার আগে সন্ধ্যাবেলা মাবুদ আমার উপরে হস্তার্পণ করেছিলেন এবং খুব ভোরে সেই পলাতকের উপস্থিত হবার অপেক্ষায় তিনি আমার মুখ খুলে দিলেন, তখন আমার মুখ খুলে গেল, আমি আর বোবা রইলাম না।
23. পরে মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,
24. হে মানুষের সন্তান, ইসরাইল-দেশে যারা সেসব উৎসন্ন স্থানে বাস করে, তারা বলছে, ইব্রাহিম মাত্র এক জন লোক ছিলেন, আর দেশের অধিকার পেয়েছিলেন; কিন্তু আমরা অনেক লোক, আমাদেরকেই দেশ অধিকার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
25. অতএব তুমি তাদেরকে বল, সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা রক্তসুদ্ধ গোশ্ত ভোজন করে থাক, নিজ নিজ মূর্তিগুলোর প্রতি চোখ তুলে রক্তপাত করে থাক; তোমরা কি দেশের অধিকারী হবে?
26. তোমরা তোমাদের তলোয়ারের শক্তিতে নির্ভর করে থাক, ঘৃণার কাজ করে থাক ও প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নাপাক করে থাক; তোমরা কি দেশের অধিকারী হবে?
27. তুমি তাদেরকে এই কথা বলবে, সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, আমার জীবনের কসম, যারা সেসব উৎসন্ন স্থানে আছে, তারা তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবে; এবং যে কেউ মাঠে আছে, তাকে আমি খাবার হিসেবে পশুদের কাছে তুলে দিলাম; এবং যারা দুর্গে বা গুহাতে থাকে, তারা মহামারীতে মারা যাবে।
28. আর আমি দেশকে ধ্বংস ও বিস্ময়ের স্থান করবো, তার পরাক্রমের গর্ব নিবৃত্ত হবে এবং ইসরাইলের পর্বতমালা ধ্বংস হবে, কেউ তা দিয়ে চলাচল করবে না।
29. তখন তারা জানবে যে, আমিই মাবুদ, যখন আমি তাদের কৃত সমস্ত ঘৃণার কাজের জন্য দেশকে ধ্বংস ও বিস্ময়ের স্থান করবো।