12. পরে রূহ্ আমাকে তুলে নিলেন এবং আমি আমার পেছন দিকে এই কালাম মহাকল্লোলের শব্দের মত তাঁর স্থান থেকে শুনলাম, ‘ধন্য মাবুদের মহিমা।’
13. আর ঐ প্রাণীদের পরস্পরের পাখা চালানোর আওয়াজ, তাদের পাশে চাকার আওয়াজ, এই মহাকল্লোলের আওয়াজ শুনলাম।
14. আর রূহ্ আমাকে তুলে নিয়ে গেলে আমি মনে দুঃখ পেয়ে গমন করলাম; আর মাবুদের হাত আমার উপরে বলবৎ ছিল।
15. আমি টেল্-আবীবে অবস্থিত নির্বাসিত লোকদের, কবার নদীতীরবাসীদের কাছে এলাম এবং তারা যে স্থানে বাস করতো, সেই স্থানে সাত দিন স্তব্ধ থেকে তাদের মধ্যে বসে রইলাম।
16. সাত দিন গত হলে পর মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,
17. হে মানুষের সন্তান, আমি তোমাকে ইসরাইল-কুলের জন্য প্রহরী নিযুক্ত করলাম; তুমি আমার মুখে কথা শুনবে এবং আমার নামে তাদেরকে চেতনা দেবে।
18. যখন আমি দুষ্ট লোককে বলি, তুমি মরবেই মরবে, তখন তুমি যদি তাকে চেতনা না দাও এবং তার প্রাণরক্ষার জন্য চেতনা দেবার জন্য সেই দুষ্ট লোককে তার কুপথের বিষয় কিছু না বল, তবে সেই দুষ্ট লোক নিজের অপরাধে মরবে, কিন্তু তার রক্তের প্রতিশোধ আমি তোমার হাত থেকে নেব।
19. কিন্তু তুমি দুষ্টকে চেতনা দিলে, সে যদি তার নাফরমানী ও কুপথ থেকে না ফেরে, তবে সে নিজের অপরাধে মরবে, কিন্তু তুমি তোমার প্রাণ রক্ষা করলে।
20. আবার, কোন ধার্মিক লোক যদি তার ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে, আর আমি তার সামনে বাধা রাখি, তবে সে মরবে; তুমি তাকে চেতনা না দিলে সে নিজের গুনাহে মরবে এবং তার কৃত ধর্মকর্ম আর স্মরণে আসবে না; কিন্তু আমি তোমার হাত দিয়ে তার রক্তের প্রতিশোধ নেব।
21. আর তুমি ধার্মিক লোককে গুনাহ্ না করতে চেতনা দিলে সে যদি গুনাহ্ না করে, তবে সচেতন হওয়াতে সে অবশ্য বাঁচবে; আর তুমিও তোমার প্রাণ রক্ষা করলে।
22. পরে সেই স্থানে মাবুদ আমার উপরে হস্তার্পণ করলেন, আর তিনি বললেন, উঠ, বের হয়ে সমতল ভূমিতে যাও, আমি সেখানে তোমার সঙ্গে কথা বলবো।