6. অতএব সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, ধিক্ সেই রক্তপূর্ণা পুরীকে, সেই হাঁড়িকে, যার মধ্যে কলঙ্ক আছে ও যার কলঙ্ক তার মধ্য থেকে বের হয় নি! তুমি খণ্ড খণ্ড করে তার সমুদয় বের কর, তার বিষয়ে গুলিবাঁট করা হয় নি।
7. কেননা তার রক্ত তার মধ্যে আছে; সে শুকনো পাষাণের উপরে তা রেখেছে, ধূলি দ্বারা আচ্ছাদিত করার জন্য মাটির উপরে তা ঢালে নি।
8. ক্রোধ উৎপাদন করার জন্য, প্রতিশোধ নেবার জন্য, আমি তার রক্ত শুকনো পাষাণের উপরে রেখেছি, যেন আচ্ছাদিত না হয়।
9. অতএব সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, ধিক্ সেই রক্তপূর্ণা পুরীকে!
10. আমিও বিশাল রাশি সাজাব। বিস্তর কাঠ দাও, আগুন প্রজ্বলিত কর, গোশ্ত সুসিদ্ধ কর, সুরস ঝোল কর, অস্থিগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হোক।
11. পরে হাঁড়ি শূন্য হলে তার অঙ্গারের উপরে তা স্থাপন কর, যেন তা তপ্ত হলে তার ব্রোঞ্জ পুড়ে লাল হয় এবং তার মধ্যে তার নাপাকীতা গলে যায় ও তার কলঙ্ক নিঃশেষিত হয়।
12. সে পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়েছে, তবুও তার কলঙ্কের পুরু স্তর তার মধ্য থেকে পরিস্কার করা যায় নি, সেজন্য তা আগুনে ফেলে দেওয়া হোক।
13. তোমার নাপাকীতার কুকর্ম আছে; আমি তোমাকে পবিত্র করলেও তুমি পবিত্র হলে না, এজন্য তুমি তোমার নাপাকীতা থেকে আর পাক-পবিত্র হবে না, যতদিন না আমি তোমার উপরে আমার গজব ঢেলে দিয়ে শান্ত না হবো।
14. আমি মাবুদ এই কথা বললাম; এই কথা সফল হবে, আমি তা সাধন করবো, ক্ষান্ত হব না, রহম করবো না, অনুশোচনাও করবো না; তোমার আচরণ ও তোমার কাজ যেরকম, সেই অনুসারে বিচার করা যাবে, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
15. আরও মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,
16. হে মানুষের সন্তান, দেখ, আমি আঘাত দ্বারা তোমার নয়নের প্রীতিপাত্রকে তোমা থেকে হরণ করবো; তবুও তুমি মাতম বা কান্নাকাটি করবে না এবং তোমার অশ্রুপাতও হবে না।
17. দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়, নীরব হও, মৃতের জন্য মাতম করো না; তুমি মাথায় পাগড়ী বাঁধ ও পায়ে জুতা দাও; তুমি ওষ্ঠাধর ঢেকো না ও লোকদের পাঠানো রুটি খেয়ো না।