21. কেননা ব্যাবিলনের বাদশাহ্ গণাপড়ার জন্য দুই পথের সঙ্গমস্থানে, অর্থাৎ সেই দুই পথের মাথায়, দণ্ডায়মান হল; সে গুলিবাট সহকারে তীর নিক্ষেপ করলো, মূর্তিগুলোর কাছে অনুসন্ধান করলো ও যকৃৎ নিরীক্ষণ করলো।
22. তার ডান দিকে গুলি উঠলো, ‘জেরুশালেম,’ সেই স্থানে প্রাচীরভেদী যন্ত্র স্থাপন করতে, হত্যার হুকুম দিতে, উচ্চৈঃস্বরে সিংহনাদ করতে, নগর-দ্বারগুলোর বিরুদ্ধে প্রাচীরভেদী যন্ত্র স্থাপন করতে, জাঙ্গাল বাঁধতে ও উচ্চগৃহ প্রস্তুত করতে হবে।
23. কিন্তু মন্ত্রটি তাদের দৃষ্টিতে মিথ্যা মনে হবে; তারা ওদের কাছে পুনঃ পুনঃ শপথ করেছিল; কিন্তু তিনি তাদের অপরাধ স্মরণীয় করেন, যেন তাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়।
24. এজন্য সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা নিজ নিজ অপরাধ স্মরণীয় করেছ, কেননা তোমাদের অধর্মগুলো অনাবৃত হল, তাই তোমাদের সমস্ত কাজে তোমাদের গুনাহ্ প্রকাশ পাচ্ছে, তোমরা স্মরণীয় হওয়াতে তোমাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে।
25. আর হে আহত দুষ্ট ইসরাইল-নরপতি, শেষ অপরাধের সময়ে তোমার দিন উপস্থিত হল।
26. সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, পাগড়ী অপসারণ কর ও রাজমুকুট দূর কর; যা আছে, তা আর থাকবে না; যা খর্ব তা উঁচু হোক ও যা উঁচু তা খর্ব হোক।
27. আমি বিপর্যয়ের পর বিপর্যয় নিয়ে আসবা; যা আছে, তাও থাকবে না, যতক্ষণ তিনি না আসেন, যাঁর এতে ন্যায্য অধিকার; আমি তাঁকেই এই সমস্ত দেব।
28. আর হে মানুষের সন্তান, তুমি এই ভবিষ্যদ্বাণী বল, সার্বভৌম মাবুদ অম্মোনীয়দের বিষয়ে ও তাদের উপহাসের বিষয়ে এই কথা বলেন; তুমি বল, তলোয়ার, তলোয়ার কোষ থেকে বের করা হয়েছে, সেটি হত্যা করার জন্য পালিশ করা হয়েছে, যেন গ্রাস করে, যেন বিদ্যুতের মত চম্কায়।
29. এদিকে লোকেরা তোমার জন্য মিথ্যা দর্শন পায় ও তোমার জন্য মিথ্যা মন্ত্র পাঠ করে, যেন তোমাকে সেই আহত দুষ্টদের ঘাড়ের উপরে নিক্ষেপ করে, যাদের দিন শেষের অপরাধকাল উপস্থিত হয়েছে।
30. সেটি পুনর্বার কোষে রাখ; তুমি যে স্থানে সৃষ্ট ও যে দেশে উৎপন্ন হয়েছিলে, সেখানে আমি তোমার বিচার করবো।
31. আর আমি তোমার উপরে আমার গজব ঢেলে দেব; আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার ক্রোধের আগুনে ফুঁ দেব এবং বিনাশ সাধনে নিপুণ এমন নিষ্ঠুর লোকদের হাতে তোমাকে তুলে দেব।
32. তুমি আগুনের কাঠের মত হবে; তোমার রক্ত দেশের মধ্যেই পড়বে; লোকে তোমাকে আর কখনও স্মরণ করবে না; কেননা আমি মাবুদ এই কথা বললাম।