13. এভাবে তুমি সোনা ও রূপা দিয়ে সাজলে; তোমার কাপড় মসীনা সুতা ও রেশম দ্বারা তৈরি এবং শিল্পকর্মে বিচিত্র হল, তুমি মিহি সুজি, মধু ও তেল ভোজন করতে এবং পরম-সুন্দরী হয়ে অবশেষে রাণীর পদ পেলে।
14. আর তোমার সৌন্দর্যের জন্য জাতিদের মধ্যে তোমার কীর্তি ছড়িয়ে গেল, কেননা আমি তোমাকে যে শোভা দিয়েছিলাম, তা দ্বারা তোমার সৌন্দর্য সিদ্ধ হয়েছিল, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
15. পরে তুমি তোমার সৌন্দর্যে নির্ভর করে নিজের সুনামের কারণে জেনাকারিণী হলে; যে কেউ কাছ দিয়ে যেত, তার উপরে তোমার ব্যভিচাররূপ পানি সেচন করতে; সেটা তারই ভোগ্য হত।
16. আর তুমি তোমার কোন কোন কাপড় নিয়ে নিজের জন্য চিত্র বিচিত্র উচ্চস্থলী প্রস্তুত করে তার উপরে পতিতাবৃত্তি করতে; এরকম হওয়া উচিত ছিল না, হবারও কথাও ছিল না।
17. আর আমার সোনা ও আমার রূপা দিয়ে তৈরি যেসব গহনা আমি তোমাকে দিয়েছিলাম তুমি তা নিয়ে পুরুষাকৃতি মূর্তি তৈরি করে তাদের সঙ্গে জেনা করতে।
18. আর তুমি আমার বিচিত্র পোশাকগুলো নিয়ে তাদেরকে পরাতে এবং আমার তেল ও ধূপ তাদের সম্মুখে রাখতে।
19. আর আমি তোমাকে আমার যে খাদ্য দিয়েছিলাম, যে মিহি সুজি, তেল ও মধু তোমাকে খেতে দিয়েছিলাম, তা তুমি খোশবুর জন্য তাদের সম্মুখে রাখতে; এ-ই করা হত, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
20. আর তুমি, আমার জন্য প্রস্তুত তোমার যে পুত্রকন্যাদের, তাদেরকে নিয়ে খাদ্যরূপে ওদের কাছে কোরবানী করেছ।
21. তোমার জেনা কি ক্ষুদ্র বিষয় যে, তুমি আমার সন্তানদেরকেও জবেহ্ করে কোরবানী করেছ ও আগুনের মধ্য দিয়ে গমন করিয়েছ?
22. নিজের সমস্ত ঘৃণার কাজে ও জেনায় মগ্ন হওয়াতে তুমি তোমার যৌবনাবস্থার সেই সময় স্মরণ কর নি, যখন তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে, নিজের রক্তে ছট্ফট্ করছিলে।
23. আর তোমার এসব দুষ্কার্যের পরে— সার্বভৌম মাবুদ বলেন, ধিক্, ধিক্ তোমাকে।