10. তাদের আকৃতি এই, চারটির রূপ একই ছিল; যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
11. গমনকালে তারা নিজেদের চার পাশে গমন করতো; গমনকালে ফিরতো না; যে স্থান মাথার সম্মুখ, সেই স্থানে তারা তার পিছনে গমন করতো, গমনকালে ফিরতো না।
12. আর তাদের সর্বাঙ্গ, তাদের পিঠ, হাত ও পাখা এবং চাকাগুলোর চারদিকে চোখে পরিপূর্ণ ছিল, চারটির চাকায় চোখ ছিল।
13. আর আমি শুনলাম, সেই চাকাগুলোকে কেউ উচ্চৈঃস্বরে বললো, ঘূর্ণায়মান চাকা।
14. প্রত্যেক প্রাণীর চারটি মুখ; প্রথম কারুবীর মুখ, দ্বিতীয় মানুষের মুখ, তৃতীয় সিংহের মুখ ও চতুর্থ ঈগল পাখির মুখ।
15. তখন কারুবীরা উপরে উঠে গেল। আমি কবার নদীর তীরে সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম।
16. কারুবীদের গমনকালে চাকাগুলোও তাদের পাশে পাশে যেত; এবং কারুবীরা যখন ভূতল থেকে উপরে উঠে যাবার জন্য নিজ পাখা উঠাত, চাকাগুলোও তখন তাদের পাশ ছাড়তো না।
17. ওরা দাঁড়ালে এরাও দাঁড়াত এবং ওরা উঠলে এরাও একসঙ্গে উঠত, কেননা ঐ চাকাগুলোতে সেই প্রাণীর রূহ্ ছিল।
18. পরে মাবুদের মহিমা গৃহের গোবরাটের উপর থেকে প্রস্থান করে কারুবীদের উপরে দাঁড়ালো।
19. তখন কারুবীরা আমার দৃষ্টিগোচরে প্রস্থানকালে পাখা মেলে ভূতল থেকে উপরে দিকে গমন করলো; এবং তাদের পাশে চাকাগুলোও গমন করলো; পরে কারুবীরা মাবুদের গৃহের পূর্বদ্বারের প্রবেশ-স্থানে দাঁড়াল; তখন ইসরাইলের আল্লাহ্র মহিমা উর্ধ্বে তাদের উপরে ছিল।
20. আমি কবার নদীর কাছে ইসরাইলের আল্লাহ্র বাহন সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম; আর এরা যে কারুবী, তা জানলাম।
21. প্রত্যেক প্রাণীর চারটি মুখ ও চারটি পাখা এবং তাদের পাখার নিচে মানুষের হাতের মূর্তি ছিল।
22. আমি কবার নদীর কাছে যে যে মুখ দেখেছিলাম, সেগুলো এদেরই মুখের মূর্তি; এরা তাদেরই আকৃতিবিশিষ্ট; বাস্তবিক এরা সেই প্রাণী; প্রত্যেক প্রাণী সম্মুখ দিকেই গমন করতো।