2. ইহুদীরা যারা তাদের ধ্বংসের চেষ্টা করে তাদেরকে আক্রমণ করার জন্য বাদশাহ্ জারেক্সের সমস্ত প্রদেশে নিজ নিজ নগরে একত্র হল এবং তাদের সম্মুখে কেউ দাঁড়াতে পারল না, কেননা তাদের থেকে সমস্ত জাতির ত্রাস উৎপন্ন হয়েছিল।
3. আর প্রদেশগুলোর কর্মকর্তারা, প্রদেশপাল, শাসনকর্তারা ও রাজ-কর্মকর্তারা সকলে ইহুদীদের সাহায্য করলেন, কারণ মর্দখয় থেকে তাঁদের ত্রাস উৎপন্ন হয়েছিল।
4. কেননা মর্দখয় রাজপ্রাসাদের মধ্যে মহান ছিলেন ও তাঁর যশ প্রদেশগুলোতে ব্যাপ্ত হল, বস্তুত সেই মর্দখয় উওরোত্তর মহান হয়ে উঠলেন।
5. আর ইহুদীরা তাদের সমস্ত দুশমনকে তলোয়ারের আঘাতে সংহার ও বিনাশ করলো; তারা তাদের বিদ্বেষীদের প্রতি যা ইচ্ছা তা-ই করলো।
6. আর শূশন রাজধানীতে ইহুদীরা পাঁচ শত লোককে হত্যা ও বিনাশ করলো।
7. আর পর্শন্দাথঃ দল্ফোন, অস্পাথঃ,
8. পোরাথঃ, অদলিয়াঃ, অরীদাথঃ,
9. পর্মস্ত, অরীষয়, অরীদয় ও রয়িষাথঃ,
10. ইহুদীদের দুশমন হম্মদাথার পুত্র হামনের এই দশ পুত্রকে তারা হত্যা করলো, কিন্তু লুট করা থেকে বিরত থাকলো।
11. যারা শূশন রাজধানীতে হত হল, তাদের সংখ্যা সেদিন বাদশাহ্র কাছে আনা হল।
12. বাদশাহ্ ইষ্টের রাণীকে বললেন, ইহুদীরা শূশন রাজধানীতে পাঁচ শত লোক ও হামোনের দশ জন পুত্রকে হত্যা ও বিনাশ করেছে; না জানি, বাদশাহ্র অধীন অন্য সকল প্রদেশে কি করেছে। এখন তোমার নিবেদন কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে; এবং তোমার আর অনুরোধ কি? তা করা হবে।
13. ইষ্টের বললেন, যদি বাদশাহ্র ভাল মনে হয়, তবে আজকের মত আগামীকালও করার অনুমতি শূশনস্থ ইহুদীদেরকে দেওয়া হোক এবং হামনের দশ পুত্রকে ফাঁসিকাষ্ঠে টাঙ্গান যাক।
14. পরে বাদশাহ্ তা করতে হুকুম দিলেন এবং সেই হুকুম শূশনে প্রচারিত হল, তাতে লোকেরা হামনের দশ পুত্রকে ফাঁসি দিল।
15. আর শূশনস্থ ইহুদীরা অদর মাসের চতুর্দশ দিনেও একত্র হয়ে শূশনে তিন শত লোককে হত্যা করলো, কিন্তু লুট করলো না।
16. আর বাদশাহ্র নানা প্রদেশ-নিবাসী অন্য সকল ইহুদীরাও একত্র হয়ে নিজ নিজ প্রাণের জন্য দণ্ডায়মান হল এবং তাদের দুশমনেরা থেকে বিশ্রাম পেল, বিদ্বেষীদের পঁচাত্তর হাজার লোককে হত্যা করলো, কিন্তু লুট করা থেকে বিরত থাকলো।
17. তারা অদর মাসের ত্রয়োদশ দিনে এই কাজ করলো এবং চতুর্দশ দিনে বিশ্রাম করে সেই দিনকে ভোজন-পান ও আনন্দের দিন করলো।
18. কিন্তু শূশনস্থ ইহুদীরা ঐ মাসের ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ দিনে একত্র হল এবং পঞ্চদশ দিনে বিশ্রাম করলো ও সেই দিনকে ভোজন-পান ও আনন্দের দিন করলো।