11. যারা শূশন রাজধানীতে হত হল, তাদের সংখ্যা সেদিন বাদশাহ্র কাছে আনা হল।
12. বাদশাহ্ ইষ্টের রাণীকে বললেন, ইহুদীরা শূশন রাজধানীতে পাঁচ শত লোক ও হামোনের দশ জন পুত্রকে হত্যা ও বিনাশ করেছে; না জানি, বাদশাহ্র অধীন অন্য সকল প্রদেশে কি করেছে। এখন তোমার নিবেদন কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে; এবং তোমার আর অনুরোধ কি? তা করা হবে।
13. ইষ্টের বললেন, যদি বাদশাহ্র ভাল মনে হয়, তবে আজকের মত আগামীকালও করার অনুমতি শূশনস্থ ইহুদীদেরকে দেওয়া হোক এবং হামনের দশ পুত্রকে ফাঁসিকাষ্ঠে টাঙ্গান যাক।
14. পরে বাদশাহ্ তা করতে হুকুম দিলেন এবং সেই হুকুম শূশনে প্রচারিত হল, তাতে লোকেরা হামনের দশ পুত্রকে ফাঁসি দিল।
15. আর শূশনস্থ ইহুদীরা অদর মাসের চতুর্দশ দিনেও একত্র হয়ে শূশনে তিন শত লোককে হত্যা করলো, কিন্তু লুট করলো না।
16. আর বাদশাহ্র নানা প্রদেশ-নিবাসী অন্য সকল ইহুদীরাও একত্র হয়ে নিজ নিজ প্রাণের জন্য দণ্ডায়মান হল এবং তাদের দুশমনেরা থেকে বিশ্রাম পেল, বিদ্বেষীদের পঁচাত্তর হাজার লোককে হত্যা করলো, কিন্তু লুট করা থেকে বিরত থাকলো।
17. তারা অদর মাসের ত্রয়োদশ দিনে এই কাজ করলো এবং চতুর্দশ দিনে বিশ্রাম করে সেই দিনকে ভোজন-পান ও আনন্দের দিন করলো।
18. কিন্তু শূশনস্থ ইহুদীরা ঐ মাসের ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ দিনে একত্র হল এবং পঞ্চদশ দিনে বিশ্রাম করলো ও সেই দিনকে ভোজন-পান ও আনন্দের দিন করলো।
19. এই কারণ পল্লীগ্রামের অর্থাৎ প্রাচীর-বিহীন নগরগুলোর নিবাসী ইহুদীরা অদর মাসের চতুর্দশ দিনকে আনন্দের, ভোজনপানের, সুখের ও পরস্পর খাদ্য-উপহার পাঠাবার দিন বলে মানে।
20. পরে মর্দখয় এই বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করলেন এবং বাদশাহ্ জারেক্সের অধীন কাছের কি দূরের সকল প্রদেশে যেসব ইহুদী থাকতো, তাদের কাছে পত্র পাঠিয়ে হুকুম করলেন,
21. যেন তারা বছর বছর অদর মাসের চতুর্দশ ও সেই মাসের পঞ্চদশ দিন পালন করে,
22. অর্থাৎ যে দুই দিন ইহুদীরা তাদের দুশমনেরা থেকে বিশ্রাম পেয়েছিল এবং যে মাসে তাদের দুঃখ সুখে ও শোক মঙ্গল-দিনে পরিণত হয়েছিল, সেই মাসের সেই দুই দিন যেন তারা ভোজন পান ও আনন্দ এবং নিজ নিজ বন্ধুর কাছে খাদ্য-উপহার ও দরিদ্রদের কাছে দান পাঠাবার দিন বলে মানে।
23. তাতে ইহুদীরা যেমন আরম্ভ করেছিল ও মর্দখয় তাদেরকে যেমন লিখেছিলেন, তারা সেভাবে দিন দু’টি পালন করতে সম্মত হল;
24. কারণ সমস্ত ইহুদীর দুশমন অগাগীয় হম্মদাথার পুত্র যে হামন, সে ইহুদীদেরকে বিনষ্ট করার সংকল্প করেছিল, তাদেরকে মুছে ফেলবার ও বিনষ্ট করার জন্যে পূর অর্থাৎ গুলিবাঁট করেছিল,
25. কিন্তু বাদশাহ্র সাক্ষাতে সেই বিষয় উপস্থিত হলে তিনি এই হুকুম-পত্র দিলেন, হামন ইহুদীদের বিরুদ্ধে যে কুসংকল্প করেছিল, তা তারই মাথায় বর্তুক; লোকে তাকে ও তার পুত্রদেরকে ফাঁসিকাষ্ঠে টাঙ্গিয়ে দিক।
26. সেজন্য পূর (গুলিবাঁট) নাম অনুসারে সেই দুই দিনের নাম পূরীম হল। অতএব সেই পত্রের সকল কথার দরুন এবং সেই বিষয়ে তারা যা দেখেছিল ও তাদের প্রতি তা ঘটেছিল,
27. তার দরুন ইহুদীরা তাদের ও নিজ নিজ বংশের ও ইহুদী-মতাবলম্বী সকলের কর্তব্য বলে এই স্থির করলো যে, এই সম্পর্কিত লেখা হুকুম ও নিরূপিত সময়ানুসারে তারা প্রতি বছর ঐ দুই দিন পালন করবে, কোনরূপে তার ত্রুটি করবে না।
28. আর পুরুষ-পরম্পরায় প্রত্যেক গোষ্ঠীতে, প্রত্যেক প্রদেশে ও প্রত্যেক শহরে সেই দুই দিন স্মরণ ও পালন করতে হবে; এবং পূরীমের সেই দুই দিন ইহুদীদের মধ্য থেকে কখনও মুছে যাবে না, আর তাদের বংশের মধ্য থেকে তার স্মৃতির লোপ হবে না।
29. পরে অবীহয়িলের কন্যা ইষ্টের রাণী ও ইহুদী মর্দখয় পূরীম দিন বিষয়ক এই দ্বিতীয় পত্র স্থির করতে সমপূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে লিখলেন।