10. ইহুদীদের দুশমন হম্মদাথার পুত্র হামনের এই দশ পুত্রকে তারা হত্যা করলো, কিন্তু লুট করা থেকে বিরত থাকলো।
11. যারা শূশন রাজধানীতে হত হল, তাদের সংখ্যা সেদিন বাদশাহ্র কাছে আনা হল।
12. বাদশাহ্ ইষ্টের রাণীকে বললেন, ইহুদীরা শূশন রাজধানীতে পাঁচ শত লোক ও হামোনের দশ জন পুত্রকে হত্যা ও বিনাশ করেছে; না জানি, বাদশাহ্র অধীন অন্য সকল প্রদেশে কি করেছে। এখন তোমার নিবেদন কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে; এবং তোমার আর অনুরোধ কি? তা করা হবে।
13. ইষ্টের বললেন, যদি বাদশাহ্র ভাল মনে হয়, তবে আজকের মত আগামীকালও করার অনুমতি শূশনস্থ ইহুদীদেরকে দেওয়া হোক এবং হামনের দশ পুত্রকে ফাঁসিকাষ্ঠে টাঙ্গান যাক।
14. পরে বাদশাহ্ তা করতে হুকুম দিলেন এবং সেই হুকুম শূশনে প্রচারিত হল, তাতে লোকেরা হামনের দশ পুত্রকে ফাঁসি দিল।
15. আর শূশনস্থ ইহুদীরা অদর মাসের চতুর্দশ দিনেও একত্র হয়ে শূশনে তিন শত লোককে হত্যা করলো, কিন্তু লুট করলো না।
16. আর বাদশাহ্র নানা প্রদেশ-নিবাসী অন্য সকল ইহুদীরাও একত্র হয়ে নিজ নিজ প্রাণের জন্য দণ্ডায়মান হল এবং তাদের দুশমনেরা থেকে বিশ্রাম পেল, বিদ্বেষীদের পঁচাত্তর হাজার লোককে হত্যা করলো, কিন্তু লুট করা থেকে বিরত থাকলো।
17. তারা অদর মাসের ত্রয়োদশ দিনে এই কাজ করলো এবং চতুর্দশ দিনে বিশ্রাম করে সেই দিনকে ভোজন-পান ও আনন্দের দিন করলো।
18. কিন্তু শূশনস্থ ইহুদীরা ঐ মাসের ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ দিনে একত্র হল এবং পঞ্চদশ দিনে বিশ্রাম করলো ও সেই দিনকে ভোজন-পান ও আনন্দের দিন করলো।
19. এই কারণ পল্লীগ্রামের অর্থাৎ প্রাচীর-বিহীন নগরগুলোর নিবাসী ইহুদীরা অদর মাসের চতুর্দশ দিনকে আনন্দের, ভোজনপানের, সুখের ও পরস্পর খাদ্য-উপহার পাঠাবার দিন বলে মানে।
20. পরে মর্দখয় এই বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করলেন এবং বাদশাহ্ জারেক্সের অধীন কাছের কি দূরের সকল প্রদেশে যেসব ইহুদী থাকতো, তাদের কাছে পত্র পাঠিয়ে হুকুম করলেন,