7. তখন বাদশাহ্ জারেক্স ইষ্টের রাণী ও ইহুদী মর্দখয়কে বললেন, দেখ, আমি ইষ্টেরকে হামনের বাড়ি দিয়েছি এবং হামনকে ফাঁসিকাষ্ঠে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, কেননা সে ইহুদীদের উপরে হস্তক্ষেপ করেছিল।
8. এখন তোমরা তোমাদের অভিমত অনুসারে বাদশাহ্র নামে ইহুদীদের পক্ষে পত্র লেখ ও বাদশাহ্র আংটি দিয়ে তা সীলমোহর কর; কেননা বাদশাহ্র নামে লেখা ও বাদশাহ্র আংটি দিয়ে সীলমোহরকৃত পত্র অন্যথা করার সাধ্য কারো নেই।
9. তখন তৃতীয় মাসে অর্থাৎ সীবন মাসের ত্রয়োবিংশ দিনে রাজ-লেখকেরা আহূত হল, আর মর্দখয়ের সমস্ত হুকুম অনুসারে ইহুদীদেরকে, প্রদেশপালদেরকে এবং হিন্দুস্থান থেকে ইথিওপিয়া দেশ পর্যন্ত এক শত সাতাশ প্রদেশের মধ্যে প্রত্যেক প্রদেশের অক্ষরানুসারে ও প্রত্যেক জাতির ভাষানুসারে শাসনকর্তাদেরকে ও প্রদেশগুলোর কর্মকর্তাদেরকে এবং ইহুদীদের অক্ষর ও ভাষানুসারে তাদেরকে পত্র লেখা হল।
10. তা বাদশাহ্ জারেক্সের নামে লেখা ও বাদশাহ্র আংটি দিয়ে সীলমোহর করা হল, পরে দ্রুতগামী ঘোড়ায় অর্থাৎ বিশেষ জাতের রাজকীয় ঘোড়ায় ঘোড়সওয়ার ধাবকদের দিয়ে সেইসব পত্র প্রেরণ করা হল।
11. এসব পত্রে বাদশাহ্ ইহুদীদেরকে এই অনুমতি দিলেন যে, বাদশাহ্ জারেক্সের অধীনে সমস্ত প্রদেশ এক দিনে, অর্থাৎ অদর নামক বারো মাসের ত্রয়োদশ দিনে,
12. তারা প্রত্যেক নগরে একত্র হয়ে নিজ নিজ প্রাণ রক্ষা করবার জন্য দণ্ডায়মান থেকে এবং যে কোন জাতি কি প্রদেশ তাদের বিপক্ষতা করে, তার সমস্ত বল অর্থাৎ সেই দুশমনদেরকে ও তাদের পুত্র কন্যা ও স্ত্রী সকলকে সংহার, হত্যা ও বিনাশ করতে ও তাদের সমস্ত দ্রব্য লুট করতে পারবে।
13. আর প্রত্যেক প্রদেশে বাদশাহ্র হুকুম বলে প্রচারিত হবার জন্য এবং ইহুদীরা যেন তাঁর দুশমনদের প্রতিশোধ নেবার নিমিত্ত সেই দিনের জন্য প্রস্তুত হয়, সেজন্য সেই লিপির অনুলিপি সমস্ত জাতিকে জানানো হল।
14. পরে দ্রুতগামী রাজকীয় ঘোড়ায় ধাবকেরা বাদশাহ্র হুকুমে খুব শীঘ্র দ্রুত যাত্রা করলো এবং সেই হুকুম শূশন রাজধানীতে দেওয়া হল।
15. পরে মর্দখয় নীল ও সাদা রংয়ের রাজপোশাক পরে, সোনার বড় মুকুটে ভূষিত হয়ে এবং মসীনা সুতার বেগুনি পোশাকে সজ্জিত হয়ে বাদশাহ্র সম্মুখ থেকে বাইরে গেলেন; আর শূশন রাজধানী চিৎকার করে আনন্দ করলো।
16. ইহুদীরা আলো, আনন্দ, আমোদ ও সম্মান লাভ করলো।