6. পরে হথক রাজদ্বারের সম্মুখস্থ নগরের চকে মর্দখয়ের কাছে গেলেন।
7. তাতে মর্দখয় তাঁর প্রতি যা যা ঘটেছে এবং ইহুদীদেরকে বিনষ্ট করার জন্য হামন যে পরিমাণ রূপা রাজ-ভাণ্ডারে দিতে ওয়াদা করেছে, তা তাঁকে জানালেন।
8. আর তাদের বিনাশ করবার জন্য যে হুকুম-পত্র শূশনে দেওয়া হয়েছে, তার একখানি অনুলিপি তাঁকে দিয়ে ইষ্টেরকে তা দেখাতে ও বুঝাতে বললেন এবং তিনি যেন বাদশাহ্র কাছে প্রবেশ করে তাঁর কাছে ফরিয়াদ ও স্বজাতির জন্য অনুরোধ করেন, এমন হুকুম করলেন।
9. পরে হথক এসে মর্দখয়ের কথা ইষ্টেরকে জানালেন।
10. তখন ইষ্টের হথককে এই কথা বলে মর্দখয়ের কাছে যেতে হুকুম করলেন,
11. বাদশাহ্র গোলামেরা ও বাদশাহ্র অধীন প্রদেশগুলোর লোকেরা সকলেই জানে, কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোক বাদশাহ্র ডাক না পেয়ে যদি প্রাঙ্গণে বাদশাহ্র কাছে যায়, তার জন্য একমাত্র ব্যবস্থা এই যে, তার প্রাণদণ্ড হবে; কেবল যে ব্যক্তির প্রতি বাদশাহ্ সোনার রাজদণ্ড বিস্তার করেন, সে-ই মাত্র বাঁচে; আর ত্রিশ দিন যাবৎ আমি বাদশাহ্র কাছে যাবার জন্য কোন ডাক পাই নি।
12. ইষ্টেরের এই কথা মর্দখয়কে জানানো হল।
13. তখন মর্দখয় ইষ্টেরকে এই উত্তর দিতে বললেন, সমস্ত ইহুদীর মধ্যে কেবল তুমি রাজপ্রাসাদে থাকাতে রক্ষা পাবে, তা মনে করো না।
14. ফলে যদি তুমি এই সময়ে সর্বতোভাবে নীরব হয়ে থাক, তবে অন্য কোন স্থান থেকে ইহুদীদের উপকার ও নিস্তার ঘটবে, কিন্তু তুমি তোমার পিতৃকুলের সঙ্গে বিনষ্ট হবে; আর কে জানে যে, তুমি এই রকম সময়ের জন্যই রাণীর পদ পাও নি?
15. তখন ইষ্টের মর্দখয়কে এই উত্তর দিতে হুকুম করলেন,
16. তুমি যাও, শূশনে উপস্থিত সমস্ত ইহুদীকে একত্র কর এবং সকলে আমার জন্য রোজা রাখ, তিন দিন, দিনে কি রাতে কিছু আহার করো না, কিছু পানও করো না, আর আমি ও আমার বাঁদীরাও তেমনি রোজা রাখবো; এভাবে আমি বাদশাহ্র কাছে যাব, তা আইনের বিরুদ্ধে হলেও যাব, আর যদি বিনষ্ট হতে হয়, হবো।
17. পরে মর্দখয় গিয়ে ইষ্টেরের সমস্ত হুকুম অনুসারে কাজ করলেন।