1. পরে মাবুদ আমাকে বললেন, তুমি একখানা বড় ফলক নাও এবং প্রচলিত অক্ষরে তাতে লেখ, ‘মহের-শালল-হাশ-বসের উদ্দেশে’;
2. এর প্রমাণের জন্য আমি ঊরিয় ইমাম ও যিবেরিখিয়ের পুত্র জাকারিয়া, এই দুই বিশ্বস্ত পুরুষকে নিজের সাক্ষী করবো।
3. পরে আমি আমার স্ত্রী মহিলা-নবীতে গমন করলে তিনি গর্ভবতী হয়ে পুত্র প্রসব করলেন। তখন মাবুদ আমাকে বললেন, ওর নাম মহের-শালল-হাশ-বস [শীঘ্র-লুট-ত্বরা-অপহরণ] রাখ;
4. কেননা বালকটি বাবা, মা, এই কথা উচ্চারণ করার জ্ঞান না হওয়ার আগেই দামেস্কের ধন ও সামেরিয়ার লুটদ্রব্য আসেরিয়ার বাদশাহ্ নিয়ে যাবেন।
5. পরে মাবুদ আমাকে আরও বললেন,
6. এই লোকেরা তো শীলোহের মৃদুগামী স্রোত অগ্রাহ্য করে রৎসীনে ও রমলিয়ের পুত্রে আনন্দ করছে।
7. এই কারণ দেখ, প্রভু ফোরাত নদীর প্রবল ও প্রচুর পানি, অর্থাৎ আসেরিয়ার বাদশাহ্ ও তার সমস্ত প্রতাপকে, তাদের উপরে আনবেন; সে ফেঁপে সমস্ত খাল পূর্ণ করবে ও সমস্ত তীরভূমির উপর দিয়ে যাবে;
8. সে এহুদার দেশ দিয়ে বেগে বইবে, উথলে উঠে বাড়তে থাকবে, কণ্ঠ পর্যন্ত উঠবে; আর, হে ইম্মানূয়েল, তোমার দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তার মেলে দেওয়া পাখা দ্বারা ব্যাপ্ত হবে।
9. হে জাতিরা, কোলাহল কর, কিন্তু তোমরা আশাহত হবে;হে দূরদেশীয় সমস্ত লোক, কান দাও;তলোয়ার বাঁধ, কিন্তু তোমরা আশাভঙ্গ হবে,তলোয়ার বাঁধ কিন্তু তোমরা আশাভঙ্গ হবে।
10. একসঙ্গে মন্ত্রণা কর, কিন্তু তা নিষ্ফল হবে;কথা বল, কিন্তু তা স্থির থাকবে না,কেননা ‘আল্লাহ্ আমাদের সঙ্গে আছেন’।
11. কারণ মাবুদ তাঁর শক্তিশালী হাত আমার উপর রেখে আমাকে এই কথা বললেন যে, এই লোকদের পথে গমন করা আমার অনুচিত।
12. তিনি বললেন, এই লোকেরা যে সমস্ত বিষয়কে চক্রান্ত বলে, তোমরা সে সমস্তকে চক্রান্ত বলো না এবং এদের ভয়ে ভীত হয়ো না, ত্রাসযুক্ত হয়ো না।
13. বাহিনীগণের মাবুদকেই পবিত্র বলে মান, তিনিই তোমাদের ভয়স্থান হোন, তিনিই তোমাদের ত্রাসভূমি হোন।