4. আমিও তাদের জন্য নানা শাস্তি মনোনীত করবো এবং তাদের নিজের ত্রাসের বিষয় তাদের প্রতি ঘটাব; কারণ আমি ডাকলে কেউ উত্তর দিত না, আমি কথা বললে তারা শুনত না, কিন্তু আমার দৃষ্টিতে যা মন্দ তা-ই সাধন করতো এবং যাতে আমার প্রীতি নেই তা-ই মনোনীত করতো।
5. তোমরা যারা মাবুদের কালামে কেঁপে উঠ, তোমরা তাঁর কালাম শোন; তোমাদের যে ভাইয়েরা তোমাদেরকে ঘৃণা করে, আমার নামের দরুন তোমাদেরকে বের করে দেয়, তারা বলেছে, মাবুদ মহিমান্বিত হোন, যেন আমরা তোমাদের আনন্দ দেখতে পাই; কিন্তু ওরাই লজ্জিত হবে।
6. শোন, নগর থেকে কলহের আওয়াজ আসছে, এবাদতখানা থেকে স্বর ভেসে আসছে! সেটি মাবুদের কণ্ঠস্বর, যিনি দুশমনদেরকে অপকারের প্রতিফল দেন।
7. ব্যথা উঠবার আগে সিয়োন প্রসব করলো; তার গর্ভযন্ত্রণার আগে পুত্র-সন্তান ভূমিষ্ঠ হল।
8. এমন কথা কে শুনেছে? এমন কাজ কে দেখেছে? এক দিনে কি কোন দেশের জন্ম হবে? কোন জাতি কি এক মহূর্তেই ভূমিষ্ঠ হবে? তবুও, গর্ভযন্ত্রণা হওয়ামাত্র সিয়োন তার সন্তানদেরকে প্রসব করলো।
9. আমি প্রসবকাল উপস্থিত করে কি প্রসব হতে দেব না? মাবুদ এই কথা বলেন। প্রসব হতে দিচ্ছি যে আমি, আমি কি গর্ভ রোধ করবো? এই কথা তোমার আল্লাহ্ বলেন।
10. তোমরা যারা জেরুশালেমকে ভালবাস, তোমরা সকলে তার সঙ্গে আনন্দ কর, তার বিষয়ে উল্লাস কর; তোমরা যারা তার জন্য শোকান্বিত, তোমরা সকলে তার সঙ্গে অতিশয় প্রফুল্ল হও;
11. যেন তোমরা তার সান্ত্বনারূপ স্তন্য চুষে তৃপ্ত হও, যেন তাকে দোহন করে তার প্রচুর প্রতাপে আমোদিত হও।
12. কারণ মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তার দিকে নদীর মত শান্তি ও উচ্ছলিত বন্যার মত জাতিদের প্রতাপ বহাব, তাতে তোমরা স্তন্য পান করবে, কোলে করে তোমাদেরকে বহন করা যাবে, হাঁটুর উপরে নাচান যাবে।
13. মা যেমন তার পুত্রকে সান্ত্বনা দেয়, তেমনি আমি তোমাদেরকে সান্ত্বনা দেব; তোমরা জেরুশালেমে সান্ত্বনা পাবে।
14. এসব দেখলে তোমাদের হৃদয় প্রফুল্ল হবে, তোমাদের সমস্ত অস্থি নবীন ঘাসের মত সতেজ হবে; এবং মাবুদের হাত তাঁর গোলামদের কাছে আত্ম পরিচয় প্রকাশ করবে, আর তিনি তাঁর দুশমনদের প্রতি কুপিত হবেন।