8. তারা শান্তির পথ জানে না, তাদের পথে বিচার নেই; তারা নিজেদের পথ বাঁকা করেছে; যে কেউ সেই পথে যায়, সে শান্তি কি তা জানে না।
9. এজন্য বিচার আমাদের থেকে দূরে থাকে, ধার্মিকতা আমাদের সঙ্গ ধরতে পারে না; আমরা আলোর অপেক্ষা করি, কিন্তু দেখ, অন্ধকার; আলোর অপেক্ষা করি, কিন্তু অন্ধকারে ভ্রমণ করি।
10. আমরা অন্ধ লোকদের মত দেওয়ালের জন্য হাতড়াই, চোখহীন লোকদের মত হাতড়াই; যেমন সন্ধ্যাবেলা তেমনি মধ্যাহ্নে আমরা হোঁচট খাই, মৃতদের মত আমরা অন্ধকার-স্থানে থাকি।
11. আমরা সকলে ভল্লুকের মত গর্জন করি, ঘুঘুর মত দারুণ মাতম করি; আমরা বিচারের অপেক্ষা করি, কিন্তু তা নেই; উদ্ধারের অপেক্ষা করি, কিন্তু তা আমাদের থেকে দূরবর্তী।
12. কেননা তোমার সাক্ষাতে আমাদের অধর্ম অনেক হয়েছে, আমাদের গুনাহ্গুলো আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে; ফলে আমাদের সমস্ত অধর্ম আমাদের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে, আর আমরা নিজেদের অপরাধগুলো জানি;
13. সেগুলো অধর্ম ও মাবুদকে অস্বীকার, তার আল্লাহ্র পিছনে চলা থেকে বিমুখ হওয়া, উপদ্রবের ও বিদ্রোহের কথাবার্তা, মিথ্যা কথা দিলে ধারণ ও দিল থেকে বের করণ।
14. আর ন্যায়বিচারকে পিছনে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে; বস্তুত চকে সত্য হোঁচট খেয়ে পড়েছে ও সরলতা প্রবেশ করতে পায় না।
15. সত্য হারিয়ে গেছে, দুষ্কর্মত্যাগী লোক লুণ্ঠিত হচ্ছে। আর মাবুদ দৃষ্টিপাত করলেন, ন্যায়বিচার না থাকাতে অসন্তুষ্ট হলেন।
16. তিনি দেখলেন, সেখানে এমন কেউ নেই দেখে অবাক হলেন, কারণ সেখানে অনুরোধকারীও কেউ নেই; এই জন্য তাঁরই বাহু তাঁর জন্য উদ্ধার সাধন করলো, তাঁরই ধর্মশীলতা তাঁকে তুলে ধরলো।
17. তিনি ধর্মশীলতারূপ বুকপাটা বাঁধলেন, মাথায় উদ্ধাররূপ শিরস্ত্র ধারণ করলেন, তিনি প্রতিশোধরূপ পোশাক পরলেন, পরিচ্ছদের মত উদ্যোগ-পরিহিত হলেন।