10. বেশি যাতায়াতের দরুন তুমি পথশ্রান্তা হয়েছিলে, তবুও ‘আশা নেই’ এমন কথা বল নি; তোমার হাতের নাড়ী টের পেয়েছে, এজন্য তুমি ক্লান্ত হও নি।
11. বল দেখি, কার কাছ থেকে এমন ত্রাসযুক্ত ও ভীত হয়েছ যে, মিথ্যা কথা বলছো? এবং আমাকে ভুলে গিয়েছ, মনে স্থান দাও নি? আমি কি চিরকাল ধরে নীরব থাকি নি, তাই বুঝি আমাকে ভয় কর না?
12. আমি তোমার ধার্মিকতার তত্ত্ব আর তোমার সমস্ত কাজ দেখাব! সেসব তোমার উপকারী হবে না।
13. তুমি যখন সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি কর, তখন তোমার সঞ্চিত মূর্তিরা তোমাকে উদ্ধার করুক। কিন্তু বায়ু তাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে, একটি নিশ্বাস সেগুলোকে নিয়ে যাবে; কিন্তু যে ব্যক্তি আমার শরণাপন্ন সে দেশের অধিকার পাবে ও আমার পবিত্র পর্বত অধিকার করবে।
14. আর বলা হবে,উঁচু কর, উঁচু কর, পথ পরিষ্কার কর,আমার লোকদের পথ থেকে সমস্ত বাধা দূর কর।
15. কেননা যিনি উঁচু ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁর নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা বলেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্র রূহ্ সম্পন্ন মানুষের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্র লোকদের রূহ্ ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
16. কারণ আমি প্রতিদিন ঝগড়া করবো না, সব সময় ক্রোধ করবো না; করলে রূহ্ এবং আমার নির্মিত সমস্ত প্রাণী, আমার সম্মুখে মূর্চ্ছা যাবে।
17. তার লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হলাম ও তাকে আঘাত করলাম, আমার মুখ লুকিয়ে ক্রোধ করলাম, তবুও সে বিমুখ হয়ে তার মনের মত পথে চললো।
18. আমি তার সমস্ত পথ দেখেছি, আর তাকে সুস্থ করবো; আমি তার পথপ্রদর্শকও হব এবং তাকে ও তার শোকাকুলদেরকে সান্ত্বনারূপ ধন দেব। আমি ওষ্ঠাধরের ফল সৃষ্টি করি;
19. শান্তি, শান্তি নিকটবর্তী ও দূরবর্তী উভয়েরই, মাবুদ এই কথা বলেন; হ্যাঁ, আমি তাকে সুস্থ করবো!