9. জাগ, জাগ, বল পরিধান কর, হে মাবুদের বাহু;জাগ, যেমন পূর্বকালে, সেকালের বংশ পরস্পরায় জেগেছিলে,তুমিই কি রহবকে কুচি কুচি করে কাট নি,প্রকাণ্ড জলচরকে বিদ্ধ কর নি?
10. তুমিই কি সমুদ্র, মহাজলধির পানি শুকিয়ে ফেল নি,সমুদ্রের গভীর স্থানকে কি পথ কর নি,যেন মুক্তি পাওয়া লোকেরা পার হয়ে যায়?
11. মাবুদের উদ্ধার করা লোকেরা ফিরে আসবে,আনন্দগান সহকারে সিয়োনে আসবেএবং তাদের মাথায় নিত্যস্থায়ী আনন্দের মুকুট থাকবে;তারা আমোদ ও আনন্দ লাভ করবে,এবং খেদ ও আর্তস্বর দূরে পালিয়ে যাবে।
12. আমি, আমিই তোমাদের সান্ত্বনাকর্তা। তুমি কে যে, মানুষকে ভয় করছো, সে তো মরে যাবে; এবং মানুষের সন্তানকে ভয় করছো, সে তো ঘাসের মত অল্পক্ষণ স্থায়ী।
13. আর তোমার নির্মাতা মাবুদকে ভুলে গিয়েছ, যিনি আসমান বিছিয়েছেন, দুনিয়ার ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন; এবং তুমি সমস্ত দিন অবিরত জুলুমবাজদের ক্রোধ হেতু ভয় পাচ্ছ, যখন সে বিনাশ করতে প্রস্তুত হয়েছে? জুলুমবাজের ক্রোধ কোথায়? জুলুম থেকে শীঘ্রই মুক্ত হবে;
14. সে মরে গিয়ে কূপে নেমে যাবে না, আর তার খাদ্যের অভাব হবে না।
15. আমি তো মাবুদ, তোমার আল্লাহ্, আমি সমুদ্রকে আলোড়িত করলে তার তরঙ্গ কল্লোল-ধ্বনি করে; বাহিনীগণের মাবুদ, এই আমার নাম।
16. আর আমি আমার কালাম তোমার মুখে রাখলাম, আমার হাতের ছায়ায় তোমাকে আচ্ছাদন করলাম। আমার উদ্দেশ্যে, আসমান রোপন করি, দুনিয়ার ভিত্তিমূল স্থাপন করি এবং সিয়োনকে বলি, তুমি আমার লোক।
17. জাগ, জাগ, উঠে দাঁড়াও,হে জেরুশালেম,তুমি মাবুদের হাত থেকেতাঁর ক্রোধের পানপাত্রে পান করেছ,মত্ততাজনক বড় পানপাত্রে পান করেছ,তলানি চেটে খেয়েছে।
18. এই পুরী যেসব শিশু সন্তান প্রসব করেছে, তাদের মধ্যে তাকে নিয়ে যাবার কেউই নেই; যেসব শিশু সন্তান প্রতিপালন করেছে, তাদের মধ্যে এর হাত ধরবার কেউ নেই।
19. এই দু’টি বিষয় তোমার প্রতি ঘটেছে; কে তোমার জন্য মাতম করবে? ধ্বংস ও বিনাশ, দুর্ভিক্ষ ও তলোয়ার; আমি কিভাবে তোমাকে সান্ত্বনা দেব?
20. জালে আটকা পড়া হরিণের মত তোমার শিশু সন্তানরা মূর্চ্ছিত হয়েছে, প্রতি সড়কের মাথায় পড়ে আছে; তারা মাবুদের গজবে, তোমার আল্লাহ্র তিরস্কারে পরিপূর্ণ।
21. অতএব তুমি এই কথা শোন, হে দুঃখিনী, তুমি মত্তা, কিন্তু আঙ্গুর-রসে নয়;