18. তবে তোমরা কার সঙ্গে আল্লাহ্র তুলনা করবে? তাঁর সঙ্গে তুলনীয় কি রকম মূর্তি উপস্থিত করবে?
19. শিল্পকর মূর্তি ছাঁচে ঢালে, স্বর্ণকার তা সোনার পাতে মোড়ে ও তার জন্য রূপার শিকল প্রস্তুত করে।
20. যে ব্যক্তি এরকম উপহার দিতে পারে না, সে এমন কোন কাঠ মনোনীত করে যা সহজে পচে যায় না; নিজের জন্য এক জন বিজ্ঞ শিল্পকর খোঁজে, যেন সে এমন একটি মূর্তি প্রস্তুত করে, যা টলবে না।
21. তোমরা কি জান নি? তোমরা কি শোন নি? আদি থেকে কি তোমাদেরকে সংবাদ দেওয়া হয় নি? দুনিয়ার পত্তন থেকে তোমরা কি বোঝ নি?
22. তিনিই দুনিয়ার সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; সেখানকার বাসিন্দারা ফড়িংস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের মত আসমান বিছিয়ে দেন, আবাস তাঁবুর মত তা টাঙ্গিয়ে দেন।
23. তিনি ভূপতিদের নাম মুছে ফেলেন, দুনিয়ার বিচারকর্তাদের অসার বস্তুর মত করেন।
24. তারা রোপিত হয় নি, তারা উপ্ত হয় নি, ভূমিতে তাদের কাণ্ড বদ্ধমূল হয় নি, অমনি তিনি তাদের উপরে ফুৎকার দেন, তারা শুকিয়ে যায়, ঘূর্ণিবাতাস তাদেরকে শুকনো খড়ের মত উড়িয়ে দেয়।
25. অতএব তোমরা কার সঙ্গে আমার উপমা দেবে যে আমি তার মত হব? এই কথা পবিত্রতম বলেন।
26. উপরের দিকে চোখ তুলে দেখ, ঐ সমস্ত সৃষ্টি কে করেছে? তিনি বাহিনীর মত সংখ্যা অনুসারে তাদের বের করে আনেন, সকলের নাম ধরে তাদের আহ্বান করেন; তাঁর মহাক্ষমতা ও মহাশক্তির জন্য তাদের একটাও অনুপস্থিত থাকে না।
27. হে ইয়াকুব, তুমি কেন বলছো, হে ইসরাইল, কেন তুমি বলছো, আমার পথ মাবুদের কাছ থেকে লুকানো, আমার বিচার আমার আল্লাহ্ থেকে সরে গেছে?
28. তুমি কি জান নি? তুমি কি শোন নি? অনাদি অনন্ত আল্লাহ্, মাবুদ, দুনিয়ার প্রান্তগুলোর সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁর বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
29. তিনি ক্লান্ত ব্যক্তিকে শক্তি দেন ও শক্তিহীন লোকের বল বৃদ্ধি করেন।