12. কে তার হাতের তালুতে জলরাশি মেপেছে, বিঘত দিয়ে আসমান পরিমাণ করেছে, দুনিয়ার ধুলা ঝুড়িতে ভরেছে, দাঁড়িপাল্লায় পর্বতমালাকে ও নিক্তিতে উপপর্বতগুলোকে ওজন করেছে?
13. কে মাবুদের রূহের পরিমাণ করেছে? কিংবা তাঁর মন্ত্রী হয়ে তাঁকে শিক্ষা দিয়েছে?
14. তিনি কার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করেছেন? কে তাঁকে বুদ্ধি দিয়েছে ও বিচারপথ দেখিয়েছে, তাঁকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে ও বিবেচনার পথ জানিয়েছে?
15. দেখ, জাতিরা কলসের একটি জলবিন্দুর মত, আর দাঁড়িপাল্লায় লেগে থাকা ধূলিকণার মত গণ্য; দেখ, তিনি দ্বীপগুলোকে মিহি ধুলার মতই তোলেন।
16. আর লেবাননে জ্বাল দেবার জন্যে যথেষ্ট জ্বালানী ও পোড়ানো-কোরবানীর জন্য যথেষ্ট জন্তু নেই।
17. তাঁর সম্মুখে সমস্ত জাতি অবস্তুর মত, তিনি তাদেরকে অসার ও শূন্য জ্ঞান করেন।
18. তবে তোমরা কার সঙ্গে আল্লাহ্র তুলনা করবে? তাঁর সঙ্গে তুলনীয় কি রকম মূর্তি উপস্থিত করবে?
19. শিল্পকর মূর্তি ছাঁচে ঢালে, স্বর্ণকার তা সোনার পাতে মোড়ে ও তার জন্য রূপার শিকল প্রস্তুত করে।
20. যে ব্যক্তি এরকম উপহার দিতে পারে না, সে এমন কোন কাঠ মনোনীত করে যা সহজে পচে যায় না; নিজের জন্য এক জন বিজ্ঞ শিল্পকর খোঁজে, যেন সে এমন একটি মূর্তি প্রস্তুত করে, যা টলবে না।
21. তোমরা কি জান নি? তোমরা কি শোন নি? আদি থেকে কি তোমাদেরকে সংবাদ দেওয়া হয় নি? দুনিয়ার পত্তন থেকে তোমরা কি বোঝ নি?
22. তিনিই দুনিয়ার সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; সেখানকার বাসিন্দারা ফড়িংস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের মত আসমান বিছিয়ে দেন, আবাস তাঁবুর মত তা টাঙ্গিয়ে দেন।
23. তিনি ভূপতিদের নাম মুছে ফেলেন, দুনিয়ার বিচারকর্তাদের অসার বস্তুর মত করেন।