3. হে মাবুদ, আরজ করি, তুমি এখন স্মরণ কর; আমি তোমার সাক্ষাতে বিশ্বস্ততায় ও একাগ্র চিত্তে চলেছি এবং তোমার দৃষ্টিতে যা ভাল, তা-ই করেছি। আর হিষ্কিয় ভীষণভাবে কান্নাকাটি করতে লাগলেন।
4. তখন ইশাইয়ার কাছে মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
5. যাও, হিষ্কিয়কে বল, তোমার পূর্বপুরুষ দাউদের আল্লাহ্ মাবুদ এই কথা বলেন, আমি তোমার মুনাজাত শুনলাম; আমি তোমার চোখের পানি দেখলাম; দেখ, আমি তোমার আয়ু পনের বছর বৃদ্ধি করবো,
6. এবং আসেরিয়া দেশের বাদশাহ্র হাত থেকে তোমাকে ও এই নগরকে উদ্ধার করবো; আমি এই নগরের ঢালস্বরূপ হবো।
7. আর মাবুদ যে কথা বলেছেন, তা যে সফল করবেন, তার এই চিহ্ন মাবুদ থেকে আপনাকে দেওয়া যাবে।
8. দেখ, আহসের সোপানে ছায়া সূর্যের সঙ্গে ধাপগুলোতে যত ধাপ নেমে গেছে, আমি তার দশ ধাপ পিছনে ফিরিয়ে দেব। পরে সূর্য যত ধাপ নেমে গিয়েছিল, তার দশ ধাপ ফিরে গেল।
9. এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের লেখা; তিনি অসুস্থ হয়ে যখন অসুস্থতা থেকে সুস্থতা লাভ করেন, তখন তিনি এই কথা লিখেছিলেন।
10. আমি বললাম, আমার আয়ুর মধ্যাহ্নে আমি পাতালের তোরণদ্বারে প্রবেশ করবো,আমার অবশিষ্ট বছরগুলো থেকে বঞ্চিত হলাম।
11. আমি বললাম, আমি মাবুদকে জীবিতদের দেশে তাঁকে আর দেখব না,দুনিয়ার নিবাসী মানুষকেও আর দেখব না।
12. ভেড়ার রাখালের তাঁবুর মত আমার আবাস উঠিয়ে আমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয় হল;আমি তন্তুবায়ের মত আমার আয়ু গুটালাম;তিনি তাঁত থেকে আমাকে কেটে ফেললেন;তুমি এক দিবারাত্রের মধ্যে আমাকে শেষ করলে।
13. আমি সকাল পর্যন্ত নীরব থাকলাম;তিনি সিংহের মত আমার সমস্ত অস্থি চূর্ণ করলেন;তুমি এক দিবারাত্রের মধ্যে আমাকে শেষ করলে।
14. তালচোঁচ ও সারসের মত আমি চিঁচিঁ আওয়াজ করছিলাম,ঘুঘুর মত কাতরোক্তি করছিলাম;উপর দিকে দৃষ্টিপাত করতে করতে আমার চোখ ক্ষীণ হল;হে মাবুদ, আমি নির্যাতিত, তুমি আমার সহায় হও।
15. আমি কি বলবো? তিনি আমাকে বললেন,এবং নিজেই সাধন করলেন;আমার প্রাণের তিক্ততার কারণে অবশিষ্ট সমস্ত বছর আমি ধীরে ধীরে গমন করবো।