27. আর সেখানকার বাসিন্দারা শক্তিহীন, ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত হল; তারা ক্ষেতের শাক ও নবীন ঘাস, ছাদের উপরিস্থ ঘাস ও অপক্ক শস্যবিশিষ্ট ক্ষেতের মত হল।
28. কিন্তু তোমার বসে থাকা, তোমার বাইরে যাওয়া, তোমার ভিতরে আসা এবং আমার বিরুদ্ধে তোমার ক্রোধ প্রকাশ, এই সকল আমি জানি।
29. আমার বিরুদ্ধে তোমার ক্রোধের কারণে এবং তোমার যে অহংকারের কথা আমার কর্ণগোচর হয়েছে, সেই কারণে আমি তোমার নাসিকায় আমার আঁকড়া ও তোমার ওষ্ঠে আমার বল্গা দেব এবং তুমি যে পথ দিয়ে এসেছো, সেই পথ দিয়ে তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব।
30. আর হে হিষ্কিয়, তোমার জন্য এটি হবে চিহ্ন, তোমরা এই বছর নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য ও দ্বিতীয় বছর তার মূলোৎপন্ন শস্য ভোজন করবে; পরে তোমরা তৃতীয় বছরে বীজ বপন করে শস্য কাটবে এবং আঙ্গুর-ক্ষেত করে তার ফলভোগ করবে।
31. আর এহুদা কুলে যে জীবিত অবশিষ্ট লোকেরা আছে, তারা আবার নিচে মূল বাঁধবে ও উপরে ফল দেবে।
32. কেননা জেরুশালেম থেকে অবশিষ্টরা, সিয়োন পর্বত থেকে বেঁচে থাকা লোকেরা বের হবে, বাহিনীগণের মাবুদের গভীর আগ্রহ তা সাধন করবে।
33. অতএব আসেরিয়ার বাদশাহ্র বিষয়ে মাবুদ এই কথা বলেন, সে এই নগরে আসবে না, এখানে তীর মারবে না, ঢাল নিয়ে এর সম্মুখে আসবে না, এর বিরুদ্ধে জাঙ্গাল বাঁধবে না।
34. সে যে পথ দিয়ে এসেছে, সেই পথ দিয়েই ফিরে যাবে, এই নগরে আসবে না, মাবুদ এই কথা বলেন।
35. কারণ আমি আমার জন্য ও আমার গোলাম দাউদের জন্য এই নগর রক্ষার্থে এর ঢালস্বরূপ হবো।
36. পরে মাবুদের ফেরেশতা যাত্রা করে আশেরীয়দের শিবিরে এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে হত্যা করলেন; লোকেরা খুব ভোরে উঠলো, আর দেখ, সমস্তই মৃত লাশ।
37. অতএব আসেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীব প্রস্থান করলেন এবং নিনেভেতে ফিরে গিয়ে বাস করলেন।
38. পরে তিনি যখন নিজের দেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে প্রণিপাত করছিলেন, তখন অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর নামক তাঁর দুই পুত্র তলোয়ার দ্বারা তাঁকে আঘাত করলো; পরে তারা অরারট দেশে পালিয়ে গেল। আর এসর-হদ্দোন নামক তাঁর পুত্র তাঁর পদে বাদশাহ্ হলেন।