6. দেখ, তুমি ঐ থেৎলা নলরূপ লাঠি, অর্থাৎ মিসরের উপরে নির্ভর করছো; কিন্তু যে কেউ তার উপরে নির্ভর করে, সে তার হাতে ফুটে তা বিদ্ধ করে; যত লোক মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউনের উপরে নির্ভর করে, তাদের পক্ষে সেও সেই রকম।
7. আর যদি আমাকে বল, আমরা আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের উপর নির্ভর করি, তবে তিনি কি সেই আল্লাহ্ নন, যাঁর উচ্চস্থলী ও সমস্ত কোরবানগাহ্ হিষ্কিয় দূর করেছে এবং এহুদা ও জেরুশালেমের লোকদের বলেছে, ‘তোমরা এই কোরবানগাহ্র কাছে সেজ্দা করবে’?
8. তুমি একবার আমার প্রভু আসেরিয়ার বাদশাহ্র কাছে পণ কর; আমি তোমাকে দুই হাজার ঘোড়া দেব, যদি তুমি ঘোড়সওয়ার দিতে পার।
9. তবে কেমন করে আমার প্রভুর ক্ষুদ্রতম গোলামদের মধ্যে এক জন সেনাপতিকে হটিয়ে দেবে এবং সমস্ত রথ ও ঘোড়সওয়ারদের জন্য মিসরের উপরে ভরসা করবে?
10. বল দেখি, আমি কি মাবুদের সম্মতি ছাড়া এই দেশ ধ্বংস করতে এসেছি? মাবুদই আমাকে বলেছেন, তুমি ঐ দেশে গিয়ে সেটি ধ্বংস কর।”
11. তখন ইলিয়াকীম, শিবন্ ও যোয়াহ রব্শাকিকে বললেন, আরজ করি, আপনার গোলামদের কাছে অরামীয় ভাষায় বলুন, কেননা আমরা তা বুঝতে পারি; প্রাচীরের উপরিস্থ লোকদের শুনিয়ে আমাদের কাছে ইহুদী ভাষায় কথা বলবেন না।
12. কিন্তু রব্শাকি বললেন, আমার প্রভু কি তোমার প্রভুরই কাছে এবং তোমারই কাছে এই কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? ঐ যে লোকেরা তোমাদের সঙ্গে নিজ নিজ বিষ্ঠা খেতে ও নিজ নিজ মূত্র পান করতে প্রাচীরের উপরে বসে আছে, ওদেরই কাছে কি তিনি পাঠান নি?
13. পরে রব্শাকি দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে ইহুদী ভাষায় বলতে লাগলেন, “তোমরা বাদশাহ্দের বাদশাহ্ আসেরিয়ার বাদশাহ্র কথা শোন।