11. তখন ইলিয়াকীম, শিবন্ ও যোয়াহ রব্শাকিকে বললেন, আরজ করি, আপনার গোলামদের কাছে অরামীয় ভাষায় বলুন, কেননা আমরা তা বুঝতে পারি; প্রাচীরের উপরিস্থ লোকদের শুনিয়ে আমাদের কাছে ইহুদী ভাষায় কথা বলবেন না।
12. কিন্তু রব্শাকি বললেন, আমার প্রভু কি তোমার প্রভুরই কাছে এবং তোমারই কাছে এই কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? ঐ যে লোকেরা তোমাদের সঙ্গে নিজ নিজ বিষ্ঠা খেতে ও নিজ নিজ মূত্র পান করতে প্রাচীরের উপরে বসে আছে, ওদেরই কাছে কি তিনি পাঠান নি?
13. পরে রব্শাকি দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে ইহুদী ভাষায় বলতে লাগলেন, “তোমরা বাদশাহ্দের বাদশাহ্ আসেরিয়ার বাদশাহ্র কথা শোন।
14. বাদশাহ্ এই কথা বলছেন, হিষ্কিয় তোমাদের ভ্রান্তি না জন্মাক; কেননা তোমাদেরকে রক্ষা করতে তার সাধ্য নেই।
15. আর হিষ্কিয় এই কথা বলে মাবুদের উপর তোমাদের বিশ্বাস না জন্মাক যে, মাবুদ আমাদেরকে নিশ্চয়ই উদ্ধার করবেন, এই নগর কখনও আসেরিয়ার বাদশাহ্র হস্তগত হবে না।
16. তোমরা হিষ্কিয়ের কথা শুনো না; কেননা আসেরিয়ার বাদশাহ্র এই কথা বলেন, তোমরা আমার সঙ্গে সন্ধি কর, বের হয়ে আমার কাছে এসো; তাহলে তোমরা প্রত্যেকে জন নিজ নিজ আঙ্গুর ফল ও ডুমুর ফল ভোজন করতে এবং নিজ নিজ কূপের পানি পান করতে পারবে;
17. পরে আমি এসে তোমাদের নিজের দেশের মত একটি দেশে, শস্য ও আঙ্গুর-রসের দেশে, রুটি ও আঙ্গুর-ক্ষেতের দেশে তোমাদের নিয়ে যাব।
18. মাবুদ আমাদের উদ্ধার করবেন, এই কথা বলে যেন হিষ্কিয় তোমাদেরকে না ভুলায়। জাতিদের দেবতারা কি কেউ আসেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে নিজ নিজ দেশ রক্ষা করেছে?