1. দেখ, এক জন বাদশাহ্ ধার্মিকতায় রাজত্ব করবেন ও শাসনকর্তারা ন্যায়বিচার করবেন।
2. প্রত্যেক জন মানুষ যেন হবে ঝড়ো বাতাসের বিরুদ্ধে আচ্ছাদন, ঝড়ের বিরুদ্ধে আশ্রয়ের স্থান, শুকনো স্থানে পানির স্রোত ও ক্লান্তিজনক ভূমিতে কোন প্রকাণ্ড শৈলের ছায়ার মত।
3. তখন যারা দেখতে পায় তাদের চোখ বন্ধ থাকবে না, আর যারা শুনতে পায় তাদের কান শুনতে থাকবে।
4. আর চঞ্চল লোকদের অন্তর জ্ঞান পাবে এবং তোৎলাদের জিহ্বা সহজে স্পষ্ট কথা বলবে।
5. মূঢ়কে আর মহান বলা যাবে না এবং খল আর উদার বলে আখ্যাত হবে না।
6. কেননা মূঢ় মূঢ়তার কথা বলবে ও তার মন নাফরমানীর কল্পনা করবে; সে আল্লাহ্বিহীনতার কাজ করবে ও মাবুদের বিরুদ্ধে ভ্রান্তির কথা বলবে, ক্ষুধার্ত লোকের উদর শূন্য রাখবে, তৃষ্ণার্ত লোকের পানি বন্ধ করে দেবে।
7. আর নাফরমানের সকল কাজই মন্দ; সে মিথ্যা কথা দ্বারা নম্রদেরকে নষ্ট করার জন্য, এমন কি যখন দরিদ্র ব্যক্তি মত কথা বলে তখনও কুসঙ্কল্প করে।
8. কিন্তু মহাত্মা মহান কাজের সঙ্কল্প করে এবং সে মহৎ-পথে স্থির থাকে।
9. হে নিশ্চিন্ত মহিলারা, উঠ, আমার কথা শুন; হে নিশ্চিন্তমনা যুবতীরা, আমার কথায় কান দাও।
10. হে নিশ্চিন্তমনা যুবতীরা, এক বছর পরে কিছু দিন গত হলে পর তোমরা তোমরা ভয়ে কাঁপবে, কেননা আঙ্গুর ফলের সংহার হবে, ফল পাড়বার সময় আসবে না।
11. হে নিশ্চিন্ত মহিলারা, তোমরা ভয়ে কাঁপতে থাক; হে নিশ্চিন্তমনা মেয়েরা, তোমরা ভয়ে কাঁপতে থাক; কাপড়-চোপড় খুলে কোমরে চট বাঁধ।
12. সকলে বুক চাপড়িয়ে মনোরম ক্ষেতের ও ফলবতী আঙ্গুরলতার জন্য মাতম করবে।
13. আমার লোকদের ভূমিতে কাঁটা ও শেয়ালকাঁটা উৎপন্ন হবে; উল্লাসপ্রিয় নগরের সমস্ত আনন্দ-গৃহেও তা জন্মাবে;
14. কারণ রাজপুরী পরিত্যক্ত হবে, লোকারণ্যের নগর নির্জন হয়ে পড়বে, পাহাড় ও উঁচু পাহারা-ঘর চিরকালীন গুহা হবে, বন্য গাধার আনন্দের স্থান ও পশুপালের চরাণি-স্থান হবে;
15. যে পর্যন্ত উপর থেকে আমাদের উপরে রূহ্ সেচিত না হন, মরুভূমি ফল গাছের বাগানে পরিণত না হয় ও ফলবান ক্ষেত অরণ্য বলে গণ্য না হয়।
16. তখন সেই মরুভূমিতে ন্যায়বিচার বাস করবে, সেই ফলশালী ক্ষেতে ধার্মিকতা বসতি করবে।
17. আর শান্তিই ধার্মিকতার কাজ হবে এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও চিরন্তন নিরাপত্তা ধার্মিকতার ফল হবে।