21. আর ডানে বা বামে ফিরবার সময়ে তোমার কান পেছন থেকে এই বাণী শুনতে পাবে, এই পথ, তোমরা এই পথেই চল।
22. আর তোমরা নিজেদের খোদাই করা রূপা মূর্তির সাজ ও ছাঁচে ঢালা সোনার মূর্তির আভরণ নাপাক করবে, তুমি তা নাপাক জিনিষের মত ফেলে দিয়ে বলবে, দূর! দূর!
23. আর তিনি তোমার বীজের জন্য বৃষ্টি দেবেন, তাতে তুমি ভূমিতে বপন করতে পারবে; এবং ভূমিজাত খাবার দেবেন, তা উত্তম ও পুষ্টিকর হবে; সেদিন তোমার পশুপাল প্রশস্ত মাঠে চরবে।
24. চাষকারী গরু ও সমস্ত গাধা কুলাতে ও চালুনীতে ঝাড়া ও সুস্বাদু দ্রব্যে মিশানো খাবার খাবে।
25. পরন্তু যে মহাহত্যার দিনে উচ্চগৃহগুলো পড়ে যাবে, সেদিন প্রত্যেক উঁচু পর্বতে ও প্রত্যেক উঁচু পাহাড়ে পানির প্রবাহ ও স্রোত হবে।
26. আর যেদিন মাবুদ নিজের লোকদের বিচ্ছিন্ন দেহ জোড়া দেবেন ও প্রহারজাত ক্ষত সুস্থ করবেন, সেদিন চন্দ্রের আলো সূর্যের আলোর মত হবে এবং সূর্যের আলো সপ্তগুণ বেশি, অর্থাৎ সপ্ত দিনের আলোর সমান হবে।
27. দেখ, মাবুদের নাম দূর থেকে আসছে, তাঁর ক্রোধের আগুন জ্বলছে ও ঘন ধোঁয়া উঠছে; তাঁর ওষ্ঠাধর তাপে পরিপূর্ণ, তাঁর জিহ্বা সর্বগ্রাসী আগুনের মত।
28. তাঁর নিশ্বাস প্লাবিত বন্যার মত, তা কণ্ঠ পর্যন্ত উঠবে; তা সর্বদেশীয় লোকদের বিনাশের কুলাতে ঝাড়তে উদ্যত; আর জাতিদের মুখে ভ্রান্তিজনক বল্গা দেওয়া যাবে।
29. পবিত্র উৎসব-রাতের মত তোমাদের গজল হবে এবং লোকে যেমন মাবুদের পর্বতে ইসরাইলের শৈলের কাছে গমনকালে বাঁশী বাজায়, তেমনি তোমাদের অন্তরের আনন্দ হবে।
30. মাবুদ প্রচণ্ড ক্রোধ, সর্বগ্রাস আগুনের শিখা, ভীষণ ঝড়-বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি দ্বারা নিজের মহিমান্বিত স্বর শোনাবেন ও নিজের বাহুর বল দেখাবেন।
31. কারণ মাবুদের কণ্ঠস্বরে আসেরিয়া ভেঙ্গে যাবে, তিনি তাকে দণ্ডাঘাত করবেন।
32. আর মাবুদ নির্ধারিত দণ্ডের যত আঘাত তাকে দিবেন, সেসব তবল ও বীণা সহকারে ঘটবে; এবং তিনি ঐ জাতির সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ করবেন।
33. কেননা তোফৎ [অগ্নিকুণ্ড] পূর্বকাল থেকে সাজান রয়েছে, তা-ই বাদশাহ্র জন্য প্রস্তুত আছে; তিনি তা গভীর ও প্রশস্ত করেছেন; তা আগুন ও প্রচুর কাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে; মাবুদের ফুৎকারে গন্ধকস্রোতের মত তাতে আগুন ধরিয়ে দেবে।