7. তাতে সর্বজাতির যে লোকারণ্য অরীয়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যেসব লোক তার ও তাদের দুর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও তাকে সঙ্কটাপন্ন করে, তারা স্বপ্নের মত ও রাত্রিকালীন দর্শনের মত হবে;
8. এরকম হবে, যেমন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে, যেন সে ভোজন করছে; কিন্তু সে ঘুম থেকে জেগে উঠে, আর তার ক্ষুধা থেকে যায়; অথবা যেমন পিপাসিত ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে, যেন সে পান করছে; কিন্তু সে জেগে উঠে, আর দেখ, সে দুর্বল, তার প্রাণে পিপাসা রয়েছে; সিয়োন পর্বতের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী সর্বজাতির লোকারণ্য তেমনি হবে।
9. তোমরা চমৎকৃত হও ও আশ্চর্য জ্ঞান কর, চোখ বন্ধ কর ও অন্ধ হও; ওরা মাতাল, কিন্তু আঙ্গুর-রসে নয়; ওরা টল-টলায়মান, কিন্তু সুরাপানে নয়।
10. কারণ মাবুদ, তোমাদের উপরে গভীর ঘুমের রূহ্ ঢেলে দিয়েছেন ও তোমাদের নবীরূপ চোখ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের দর্শকরূপ মাথা ঢেকে রেখেছেন।
11. সমস্ত দর্শন তোমাদের পক্ষে সীলমোহর করা গুটানো-কিতাবের মত হয়েছে; যে লেখা পড়া জানে, তাকে কেউ যদি সেই কিতাব দিয়ে বলে, মেহেরবানী করে এটি পাঠ কর, তবে সে জবাবে বলবে, আমি পারি না, কারণ তা সীলমোহর করা।
12. আবার যে লেখা পড়া জানে না, তাকে যদি সে তা দিয়ে বলে, মেহেরবানী করে এটি পাঠ কর, তবে সে জবাবে বলবে আমি পড়তে জানি না।
13. প্রভু আরও বললেন, এই লোকেরা আমার কাছে আসে এবং নিজ নিজ মুখে ও ওষ্ঠাধরে আমার সম্মান করে, কিন্তু নিজ নিজ অন্তঃকরণ আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছে এবং আমার কাছ থেকে তাদের যে ভয়, তাও মানুষের হুকুম, মুখস্থ করা মাত্র।
14. অতএব দেখ, আমি এই জাতির সঙ্গে পুনর্বার আশ্চর্য ব্যবহার, এমন কি, আশ্চর্য ও চমৎকার ব্যবহার করবো; এবং তাদের জ্ঞানবানদের জ্ঞান বিনষ্ট ও বিবেচক লোকদের বিবেচনা অন্তর্হিত হবে।
15. ধিক্ তাদেরকে, যারা গভীর মন্ত্রণা করে ও মাবুদের কাছ থেকে তা গুপ্ত রাখতে চেষ্টা করে, অন্ধকারে কাজ করে ও বলে, আমাদের কে দেখতে পায়? আমাদের কে চিনতে পারে?
16. তোমাদের কেমন বিপরীত বুদ্ধি! কুমার কি মাটির সমান বলে গণ্য? নির্মিত বস্তু কি নির্মাতার বিষয়ে বলবে, ঐ ব্যক্তি আমাকে নির্মাণ করে নি? গঠিত বস্তু কি তার গঠনকারীর বিষয়ে বলবে, ওর বুদ্ধি নেই?
17. অতি অল্পকাল গত হলে লেবানন কি বাগানে পরিণত হবে না? আর বাগান কি অরণ্য বলে গণ্য হবে না?
18. সেদিন বধিররা কিতাবের কালাম শুনবে এবং ঘন অন্ধকার ও অন্ধকারের মধ্য থেকে অন্ধদের চোখ দেখতে পাবে।